1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ১৯৫০ মিটার - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ১৯৫০ মিটার

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯

খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: প্রতিকূলতা কাটিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষে পদ্মাসেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩বি’ সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের উপর বসিয়ে ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

প্রকৌশলীদের ভাষ্য, ‘আনলাকি থার্টিন’ এই স্প্যানটি বসেছে দু’দিনের চেষ্টায় ও নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে কয়েকবার। গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে পদ্মা পাড়ি এখন ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে। এভাবে একের পর এক স্প্যান বসিয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে চলছে সেতুর। দ্বাদশ স্প্যান (অস্থায়ী) বসানোর ১৯ দিনের মাথায় স্থায়ীভাবে বসলো এই ত্রয়োদশ স্প্যানটি।

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে পদ্মানদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৮টি স্প্যান বসলেই।

শনিবার (২৫ মে)  সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সফলভাবে বসেছে। তৃতীয় মডিউলের দুই নম্বর স্প্যান এটি। সকাল থেকেই পদ্মা উত্তাল, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর এর মধ্যেই শুরু হয় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।

এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে আসে তিন হাজার ৬শ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাবে  এই দিন স্প্যানটি বসানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ায় বসানো যায়নি। এছাড়া এর কয়েকদিন আগে নৌরুটে নাব্যতা সংকট, লিফটিং হ্যাঙ্গার স্বল্পতার জন্য নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার নির্ধারিত পিলারের কাছেই স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি অবস্থান করছিল। সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো ‘৩-এ’ স্প্যানের পাশেই বসেছে ‘৩বি’ স্প্যানটি।

জানা যায়, দুই পিলারের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে এনে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিং এর ওপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে হওয়ায় প্রকৌশলীরা শনিবারই স্প্যান বসাতে সক্ষম হন।

পদ্মাসেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর  বলেন, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের উপর ‘৩বি’ স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। ত্রয়োদশ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর ১ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

পদ্মাসেতুর অগ্রগতির বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন,পদ্মাসেতুর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভিং সম্পন্ন। বাকি ২৬টি পাইলের কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া জাজিরা প্রান্তের স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছে।

জানা যায়, জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। দেড় মাস পর ১১ মার্চ এ প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। দু’মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। তারপর ছয় মাস ২৫ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। এর ২৮ দিনের মাথায় ২০ ফেব্রুয়ারি বসে সপ্তম স্প্যানটি। এর একমাস পরে ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যানটি। এরপর ১০ এপ্রিল বসে দশম স্প্যানটি। এর ১৩ দিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল বসে একাদশ স্প্যান। এর ১২ দিনের মাথায় দ্বাদশ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসে চলতি মাসের ৫ মে। আর মাওয়া প্রান্তে একটিমাত্র অস্থায়ীভাবে স্প্যান বসানো হয় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর।

পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যানের মধ্যে ১৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST