নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়নের নওদাজোয়ারি গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্ততঃ ১০ জন আহত। তারমধ্যে দু’ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত
পারিবারিক রাস্তার জমির সীমানা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কোলাহল চলে আসছিল। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন জমির মালিক মো. রফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল প্রধানকে সভাপতি করে দু’টি মিটিংয়ের মাধ্যমে সমাধানে আসলেও বিরোধী পক্ষ রমজান
আলী সীমানার জরীফ মনোপুত না হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ফলে অমিমাংসিত অবস্থায় মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রনিকে জোর পূর্বক রমজান ও তার সহযোগিরা হাশেমের বাড়িতে নিয়ে ঘরের ভিতর আটকিয়ে রেখে চাপাতি, হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং শাবল ও রড দিয়ে শরীরের
বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী আঘাত করে। অপর পক্ষ হাশেম আলী বলেন, রনি আমার বাড়ির মধ্যে ঢুকে মহিলাদের ওপর মারধর করতে থাকে। পরবর্তীতে আমার লোকজনও তাদের ওপর হামলা করে এবং দুই পক্ষই আহত হই।
এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রফিক ও তার ছেলে রনিকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী আসামী পক্ষর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ পাবলিকের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে প্রতিপক্ষ রমজান ও তার ছেলে হাশেম, ও হাশেমের মা, বোন ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই এলাকার নারী-পুরুষ একত্রে হয়ে মৌখাড়া- আহমেদপুর সড়ক অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবী পুলিশ নিরীহ মহিলাদের ওপর কেন লাঠি চার্জ করলো।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিলীপ কুমার দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ লাঠি চার্জ করতে পারে। সংঘর্ষের বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার এস.আই আনোয়ার হোসেনের
সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমি মহিলা ফোর্স সহ যাই এবং উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামানিক। ওখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য হালকা লাঠি চার্জ করে বিবাদমান দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেই এবং অপরপক্ষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এই ঘটনায় রফিকের ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন
আমি বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা করতে থানায় এসেছি। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত থানায় কেহই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন