খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:প্রথম দফায় শাদকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বিজেপির। বুথ জ্যাম থেকে বিরোধীদের এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক ব্যবহার নিয়েও একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের। একাধিক এই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠ ভোট করাতে দ্বিতীয় দফায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন
করতে চলেছে কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলা তথা গোটা দেশজুড়ে একাধিক লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। বাংলার তিনটি অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। আর এই তিন লোকসভা আসনে নির্ভিঘ্নে ভোট করাতে আরও বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যে আসছে আরও ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৪ কোম্পানি। এর আগে নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় থাকবে ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু ভোট শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে আরও বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। এই তিন লোকসভা আসনে যত স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে সেখানে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও এরিয়া ডমিনেশন সহ একাধিক কাজে এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে৷ কারণ প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে যেখানে যেখানে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছিল সেখানেই দুর্নীতি, গন্ডগোল হয়েছে৷ এই দাবিতে গত কয়েকদিন আগে কমিশনের দফতর ঘেরাও করে বিজেপি। মুকুল রায়ের নেতৃত্বে কলকাতার ইলেকশন কমিশন অফিসের সামনে অবস্থান
বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতাদের আরও অভিযোগ ছিল, প্রথম দফার ভোটে অনেক কেন্দ্রে শুধু রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ দিয়েই নির্বাচন কমিশন ভোট করিয়েছে৷ তাতে লাভবান হয়েছে শাসক দলই৷ এবং ওইসব বুথেই বেশি বেনিয়ম, ছাপ্পা ভোট, গন্ডগোল হয়েছে৷ ফলে দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছিল। সেই মতো রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগেই এই বাহিনী চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন