খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নূর উদ্দিনকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভালুকার সিডস্টোর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ পিবিআই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান। নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন নুর উদ্দিন।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মুকসুদুল আলম ও তার সহযোগী সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই নুসরাত হত্যা মামলার আসামি।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর মুকসুদুল আলমকে ঢাকা থেকে এবং তার সহযোগীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার মুক্তির দাবিতে সোনাগাজীতে মিছিল করেছিলেন কাউন্সিলর মুকসুদুল।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে—এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চারতলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪-৫ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে বোরকা পরা চারজনসহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়েরের পর ওই রাতে এজহার পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নুসরাত সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়া গ্রামের মাওলানা মুছা মিয়ার মেয়ে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন