খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশি হেফাজতে কম বয়সী এক শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কাশ্মীরের বিভিন্ন স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। পাকিস্তানের দৈনিক ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত রোববার শেষরাতে রিজওয়ান আসাদ পণ্ডিত নামের এক শিক্ষকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের একটি বন্দিশালায় রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালের দিকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই শিক্ষকের।
তবে কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। পুলিশ বলছে, রিজওয়ান নামের ওই শিক্ষক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমন অভিযোগের তদন্ত করতেই তাকে আটক করা হয়। ডন বলছে, ওই শিক্ষক জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীরের একজন সমর্থক।
কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪৩ জন সেনা নিহত হওয়ার পর পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানে কাশ্মীরে কয়েক শত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষকরে পরিবার বলছে, রিজওয়ান কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রিজওয়ানের ভাই জুলকারনাইন পণ্ডিত স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেন, ‘তাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। আর এখন তারা ওই হত্যা সম্পর্কে বানোয়াট কথা বলেছ। এটা কীভাবে হয়? তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।’
শিক্ষক রিজওয়ানের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর কাশ্মীরের বাসিন্দারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শ্রীনগরের স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। তার আগে স্থানীয় তিনটি রাজনৈতিক দল কাশ্মীরজুড়ে অবরোধের ডাক দেয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হত্যার তদন্তের নির্দেশ দিলেও পুলিশ এখনো কোনো মামলা দাখিল করেনি বলে জানা গেছে।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে