পাবনা প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট সোমবার পাবনার ৮টি উপজেলায় শান্তিপুর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’একটি উপস্থিতি ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট কেন্দ্র ও এর আশপাশে উৎসবমুখর পরিবেশের দেখা মেলেনি। ভোটারের উপস্থিতি ও খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। ভোট কেন্দ্রে ছিলনা ভোটারের সেই দীর্ঘ লাইন। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। মাঝে মধ্যে দু’একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের কিছু লাইন দেখা গেছে।
বেড়া উপজেলার আমিনপুরে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে সুলতানা খানম নামের এক মহিলা ইউপি সদস্যকে ৫ দিনের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। ফরিদপুরের সাভার ভোট কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষে তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চাটমোহরের বরদানগর ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। বিকেল
সাড়ে ৪টায় চাটমোহর উপজেলার আরসিএন এন্ড বিএসএন পাইলট উ”চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এস এম মসীহ্ জানান, তার কেন্দ্রে ৪৬ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। সকল প্রার্থীর এজেন্ট সেখানে উপস্থিতি ছিল। সবমিলিয়ে জেলায় গড়ে ৩৫-৪০ ভাগ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, জেলায় শান্তিপুর্ন ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যব¯’া। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ৩৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট ১,৭৩২ জন পুলিশ সদস্য, ৬,২৭২ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য এবং ১৭ প্লাটুন (৩৯৫ জন) বিজিবি। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় জোরদার ছিল র্যাবের টহল।
পাবনার ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। মোট ভোটার ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৩ জন। ৫২৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর আগে সদর ও সুজানগর উপজেলার ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন।