নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাতির ভয় দেখিয়ে রাজশাহী মহানগরীর ব্যস্ততম রাস্তায় মাহুদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া মুল রাস্তায় হাতির মাহুতকে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সালামির নামে টাকা তুলতে দেখা যায়। রাজশাহী মহানগরীতে প্রবেশের অন্যতম প্রবেশ পথের রাস্তায় হাতিকে টাকা দেওয়ার হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। মাহুতের খামখেয়ালিপনায় অনেক মোটরসাইকেল চালক, সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকরা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে একটি বড় হাতি নিয়ে তার মাহুত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটি যানবাহন থামিয়ে টাকা তোলে। আর তার বিশাল শুড় নাড়াচ্ছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাহুতের ইশারায় ব্যবসায়ীকে শুড় দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়েই রেহায় পেতে হয় তাদের। শুধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নয় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল চালক ও পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়। প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। এ সময় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকটি দোকান ও যানবাহন থামিয়ে টাকা তোলেন মাহুত। নগরীর প্রবেশ পথ হওয়ায় ওই রাস্তায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। হাতির প্রবেশ দেখে লোকজন ভয়ে দুরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যুবক-যুবতীকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। অনেককে দুরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখাও যায়। রাস্তার মাঝখানেই হাতিটি দাঁড় করিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধীকতার সৃষ্টি হয়। সোহানা নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সোনাদিঘীর মোড় থেকে মনিচত্বর পর্যন্ত এমনিতেই। এক মোটরসাইকেল চালক অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তা। এ রাস্তায় হাতি দাঁড়িয়ে টাকা তুলছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনায়ও ঘটতে পারে। কোনো যানবাহনই তার কাছ থেকে ছাড়া পাচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। হাতির ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে সবাই। নাইমুর নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, টাকা না নিয়ে হাতি যায়নি। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আশপাশ ফাঁকা হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর