1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাড়েনি সেবার মান! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাড়েনি সেবার মান!

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯
ছবি: প্রতিকি

বিশেষ প্রতিবেদক : 
রাজশাহী মহানগরীতে যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যত্রতত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠলেও বাড়েনি সেবার মান। বিশেষ করে নগরীর লক্ষীপুর এলাকায় প্রতি মাসেই নিত্য নতুন নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক খোলা হচ্ছে। আর সেখানে রোগী নিয়ে আসার জন্য মার্কেটিং অফিসার পদ দেওয়া হচ্ছে একাধিক ব্যক্তিকে। তারাই বিভিন্ন স্থান থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে আসে। এ ছাড়াও নিত্য নতুন ডায়াগনস্টিকগুলোর নিজস্ব দালালও ছাড়া রয়েছে। যারা নির্ধারিত কমিশনের বিনিময়ে রোগী ধরে নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় দুই শতাধিকের উপরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগেই এর সংখ্যা ছিল শতাধিকের কিছু বেশি। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করেই খোলা হচ্ছে নতুন নতুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আরো অভিযোগ রয়েছে, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী একটি

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা বা আলট্রাসনোগ্রাফী ও এক্সরের জন্য যেমন কক্ষ হওয়া প্রয়োজন তার কোনো কিছুই নেই অনেক সেন্টারে। এভাবে দিনের পর দিন কেটে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। অভিযোগ রয়েছে, উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা বলে কিছু চিকিৎসক তাদের দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য সরকারী হাসপাতালের রোগীকে রেফার্ড করছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এভাবে সরকারি হাসপাতালে বহাল তবিয়তে চাকরি রক্ষা করেই অবাধে ৪ থেকে ৫টি প্রতিষ্ঠানে চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা বাণিজ্য। তারা এতগুলো প্রতিষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় কোনো স্থানেই সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না বলেও অভিযোগ রোগীদের পক্ষ থেকে। তারপরেও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই হয়রানি হচ্ছেন সাধারণ রোগী ও অভিভাবকরা। এদিকে, সরকার জনগণের চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতাল ও চিকিৎসক তৈরিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। যে অর্থ জনগণের। অথচ, কিছু চিকিৎসক ও নার্সদের কারণে প্রকৃত

সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ডাক্তারদের বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়লেও, বাড়ছে না চিকিৎসা সেবার মান। এক শ্রেনীর অসাধু চিকিৎসকদের কারণে বদনামের ভাগিদার হতে হয় সবাইকে। ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে চাকরিতে অবহেলা ও প্রাইভেট চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং তারা অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, রাজশাহী নগরীতে এখন রোগ নির্নয় পরিক্ষা বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। তবে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নয়, নগরীতে যত্রতত্র গড়ে উঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় চলছে কমিশন ভিত্তিক এ রোগ নির্নয় পরীক্ষা বানিজ্য। কমিশনের বিনিময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট তৈরির মাধ্যমে রোগীদের প্রতারিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একই রোগীর পরীক্ষায় একেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একেক রকম রিপোর্টও পাওয়া যায়। এসব রিপোর্ট নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরা চরম বিভ্রান্তিতে পড়েন। আর এই চিকিৎসার অর্থ যোগাতে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। অন্যদিকে, এই টেস্ট বাণিজ্য করে অসাধু চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকরা অর্থের পাহাড় গড়ে তুলছে। সেদিকে

কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এখন স্ব স্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই রোগ নির্নয় পরিক্ষার বিবরনী কাগজ চিকিৎসকদের কাছে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে চিকিৎসকদের আলাদাভাবে লেখারও প্রয়োজন হয়না। শুধু চিক মার্ক দিয়ে ডাক্তারদের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের টেস্ট করাতে পাঠানো হয়। যে টেস্ট রোগীর পছন্দ মতো প্রতিষ্ঠানের করার কোন সুযোগ নাই। না ঘটনা না জেনে কোন কোন সময় রোগীর ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠানে টেস্ট করালেও ডাক্তার ওই রিপোর্ট গ্রহণ করেন না। এ বিষয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, রেজিস্ট্রেশন না নিয়ে কারো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানোর অনুমতি নেই। যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন না নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোন

ডাক্তারের অগ্রিম স্বাক্ষর করা কাগজ পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিককে জরিমানা করা হবে। নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন না নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালায় তাহলে অভিযান চালিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফী কক্ষ নির্ধারিত মাফের না হলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই পরিদর্শন এসব দেখা হয়। এমন সমস্যা যদি কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

খবর ২৪ ঘণ্টা/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST