নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মদদে ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় ও পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আমিনুল হক। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলেও সারাদেশের ন্যায় তানোর-গোদাগাড়ীতে সেটি নেই। সরকার দলীয় লোকজন ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা বহরকে নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় বাধা দিয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে গায়েবী মামলায় চালান দিচ্ছে। গত শুক্রবারে তানোরের পাচন্দর ইউনিয়নে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ২৫-৩০ নৌকা প্রতীকের মোটরসাইকেল আমাদের ক্রস করার সময় উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে। তানোরের কোয়েল হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথের মধ্যে ২৫-৩০ টি মোটরসাইকেল আমাদের বাধা দেই।এ ছাড়া গত শুক্রবার রাতের যে কোনো সময় একটি
সাদা সিএনজি চালিত ছোট পিকাপ কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত হাতে, লাঠি সোঠা. ধারালো রড নিয়ে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ি হতে বালিয়াঘাটা পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকে সব পোস্টার ও ফেস্টুন এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। একইভাবে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর মোড়ের নির্বাচনী অফিস, বিল্লী হাটের নির্বাচনী অফিস, চোরখোর মোড়, দিবস্থলী মোড়, কনপুর কেয়ারাপাড়া, ধনঞ্জয়পুর, র্পাঁচন্দর ইউনিয়নের বনকেশর মোড়, কৃষ্ণপুর বাজার, বিনোদপুর মোড়, তালন্দ ইউপির লালপুর মোড়, তালন্দ জিয়া পরিষদ, মোহর জিয়া পরিষদসহ বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে ও পোস্টার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে তারা। কোয়েল হাটবাজার দলীয় অফিস,, ইলামদহি বাজারের নির্বাচনী অফিসের সার্টার দরজা ভেঙ্গে ফেলে ও দুবইল অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী পৌরসভার সব অফিস ও পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপস্থিত থেকে ভেঙ্গে ফেলে। গতরাতে কুমোরপুর বিজয়নগর, চরআড়াদিয়াহসহ সব উপজেলার ভাংচুর করে তারা। এসব
বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, কোনো কর্মীর দ্বারা এমন কাজ হলেও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু প্রার্থীর উপস্থিতিতে ও নির্দেশে এগুলো ভাঙ্গা আশা করা যায়না। অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই তিনি নির্বাচনী সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী জঙ্গিবাদ নিয়ে যে প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সত্যতা নেই। হাইকোর্টে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষ্য দেয়নি। আমি কখনোই এমন কাজের সাথে যুক্ত ছিলামনা। আমার দ্বারা কেউ কখনোাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।এদিকে, একই সংবাদ সম্মেলনে পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন অভিযোগ করেন, তার এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ নেই। কোনো
নির্দিষ্ট মামলা না থাকার পরেও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে মোহনপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে পেন্ডিং মামলায় চালান করে দিয়েছে। তার মুক্তি দাবি করছি। এ ছাড়া সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন ধানের শীষের অফিস ভাংচুর ও পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে তারও প্রতিকার দাবি করছিল। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন তপুসহ বিএনপির অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।
খবর ২৪ ঘন্টা/আর