1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ধানের শীষের ১১ প্রার্থীর কারাগারে বসেই ভোট - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১৮ জানয়ারী ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

ধানের শীষের ১১ প্রার্থীর কারাগারে বসেই ভোট

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ১১ প্রার্থীকে কারাগারে বসেই ভোটে লড়তে হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচনের আগে তাদের কারামুক্তির সম্ভাবনাও ক্ষীণ। আর এরা সবাই বিএনপি ও তাদের সমর্থিত জামায়াতে ইসলামীর (ধানের শীষ প্রতীকের) প্রার্থী।

কারাগারে থেকে ভোটে অংশ নেওয়া ১১ প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি নেতা গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী ফজলুল হক মিলন, টাঙ্গাইল ২-এর সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কুমিল্লা ১০-এর মনিরুল হক চৌধুরী, মাগুরা ১-এর মনোয়ার হোসেন খান, নরসিংদী ১-এর খায়রুল কবির খোকন, রাজশাহী ৬-এর আবু সাঈদ চাঁদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনের ড. শাহদাত হোসেন, চট্টগ্রাম ১৫-এর বিএনপি সমর্থিত জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলাম, খুলনা ৬-এর আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-৪ আসনের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা। এদের মধ্যে গতকাল গ্রেপ্তার হন বাচ্চু মোল্লা, গাজী নজরুল ইসলাম ১৬ ডিসেম্বর এবং ফজলুল হক মিলন গত ১৩ ডিসেম্বর। অন্যরা প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই কারাবন্দি।

জানা গেছে, এসব প্রার্থীর কারামুক্তির জন্য এক বা একাধিক মামলায় জামিন নেওয়া প্রয়োজন। তবে এর জন্য তাদের যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, তা কোনোভাবেই ভোটের এই ১৩ দিনে সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব আসামিকে একটি মামলায় প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, সেখানে বিফল হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং সেখানেও না মিললে জামিনের আবেদন করতে হবে হাইকোর্টে। এ প্রক্রিয়া শেষ করে আপিল বিভাগের মুখোমুখি হওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া বেশ কয়েক প্রার্থী জামিন পাওয়ার পর অন্য মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বরের আগে কারামুক্ত হয়ে তাদের নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ফজলুল হক মিলন : গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন গ্রেপ্তার হন গত ১৩ ডিসেম্বর। তার স্ত্রী শম্পা হক জানান, মিলনের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৩৩টি মামলা রয়েছে। তবে সবকটিতেই তার জামিন রয়েছে। সর্বশেষ মামলায়ও তিনি ১২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে

পরদিন নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জে যান; কিন্তু জামিনের কাগজপত্র দেখানোর পরও তাকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানার সাত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সে ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এখন তাকে কারামুক্তির জন্য আদালতে জামিনের আবেদন করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খায়রুল কবির খোকন : বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে গত ২৯ নভেম্বর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে কারাগারে পাঠান নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তার স্ত্রী দলটির কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরিন সুলতানা আমাদের সময়কে জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ধারায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অথচ ধারাটি অনেক আগেই বাতিল হয়েছে। পরে পুলিশ নিজের ভুল বুঝতে পেরে নতুন ধারায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে তার জামিন হয়েছে। এরই মধ্যে শাহবাগ থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল; কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সেদিন তাকে হাজির করা হয়নি। নতুন তারিখ রাখা হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর। নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই কৌশলে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ শিরিন সুলতানার। এর মধ্যে গতকাল খোকনকে শাহবাগ থানার নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মনোয়ার হোসেন : মনোনয়নপত্র দাখিলের পর গত ২৯ নভেম্বর মাগুরা-১ আসনের বিএনপিদলীয় প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান মাগুরা জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন; কিন্তু বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। তবে সেই আদেশের কপি এখন পর্যন্ত পাননি বলে জানায় মনোয়ার হোসেনের পরিবার। ফলে তার পক্ষে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করাও সম্ভব হচ্ছে না। ডিসেম্বরজুড়ে আদালতে অবকাশ চলায় নকলের কপি পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই আপাতত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

নতুন গায়েবি মামলা, চাঁদের ভোট কারাগারেই : রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাঈদ চাঁদকে গত ১ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা চারঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব মামলায় বিভিন্ন আদালত থেকে তার জামিন হলেও ৯ ডিসেম্বর নতুন এক গায়েবি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনের আগে চারঘাটের সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যানের কারামুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

১৪ মামলায় টুকুর জামিন বাতিল : বিএনপি নেতা ও টাঙ্গাইল-২ আসনের প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে ?নাশকতার ১৪ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত ৯ ডিসেম্বর বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে নিম্ন আদালতে জামিন চাইতে বলা হয়। এর আগে হাইকোর্ট প্রায় ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা এই নেতাকে এক বছরের জামিন দিয়েছিলেন; কিন্তু বাতিল হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনের আগে তার কারামুক্তির পথ আটকে গেছে। তার নামে ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়ের করা মামলা ১৩৯টি।

কারাগার থেকে মনিরুলের চিঠি : কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক গত ১২ ডিসেম্বর জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের কাছে একটি চিঠি পাঠান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এতে তিনি তার কর্মীদের জানমাল রক্ষায় সহযোগিতা চান। সেই সঙ্গে জানান, গত ৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। এর পর নাঙ্গলকোট থানায় দুটি মামলা দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে গায়েবি মামলাগুলোয় জেলা জজ জামিন দেননি, খারিজও করেননি। অধিকতর শুনানির জন্য জানুয়ারিতে আদালত তারিখ রেখেছেন বলে তিনি জানান।

আবুল কালাম আজাদ : বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার হন গত ২৭ অক্টোবর। তার বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। ফলে তার ভাই অ্যাডভোকেট শাহ আলম প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, ২৭ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে আজাদকে ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার কারামুক্তির জন্য আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত। নিম্নআদালত জামিন না দেওয়ায় হাইকোর্টে তার জামিন চাওয়া হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন ও শামছুল ইসলাম : চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে গত ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৪৫টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর বাকলিয়া থানার তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর কিছুদিন আগেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় কোতোয়ালি থানার তিনটি মামলায়। ফলে শিগগিরই তার মুক্তি মিলছে না। এদিকে একাধিক নাশকতার মামলায় কারাগারে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের প্রার্থী জামায়াত নেতা আ ন ম শামছুল ইসলাম। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কারাগারে।

নজরুল ইসলাম : সাতক্ষীরা-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্যামনগর উপজেলার ইসমাইলপুর এলাকা থেকে এই প্রার্থীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানার ওসি আবুল কালাম জানিয়েছেন, নাশকতার একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজী নজরুলের বিরুদ্ধে আরও বেশকিছু অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

সর্বশেষ গ্রেপ্তার বাচ্চু মোল্লা : কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা নাশকতার মামলায় স্থায়ী জামিন নিতে গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যান। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাচ্চুর ছেলে শিশির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST