খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা হাইকোর্টে রিটের শুনানি হতে পারে আজ। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এ তথ্য দিয়েছেন।
রোববার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। দ্বৈত আদেশের এ রায়ের কপি মোট দুই পৃষ্ঠা।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার পাননি। তাই তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।’
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। দুটি মামলায় তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন। শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তারা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে।
শুনানি শেষে ইসি থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আচরণবিধি বা অপরাধের যে ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বে আইনি। কারান্তরীণ খালেদা জিয়া কীভাবে বিধি লঙ্ঘন করবেন, তার বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন