আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক স্তরে অপরিশোধিত তেলের বাজারে ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে উৎপাদন কমানোর ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। সোমবার সৌদি আরবের শক্তি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ জানিয়েছেন, বাজারে ভারসাম্য আনতে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিন প্রতি ১ লক্ষ ব্যারেল কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অতিরিক্ত জোগানে দাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াদ।
এদিকে, সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ ডলার বেড়ে গেছে। দুই বৃহৎ তেল ব্যবসায়ী ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম এক ডলার বাড়ার কথা জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মার্কেট ডট কম ওয়েবসাইটের চিফ মার্কেট অ্যানালিস্ট নিল উইলসন জানান, অপরিশোধিত তেলের ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু, একা সৌদির ক্ষেত্রে বাজারে ভারসাম্য আনাটা সম্ভব নয়। ওপেকভুক্ত দেশগুলো, বিশেষ করে রাশিয়াকেও তেল উৎপাদনে রাশ টানতে হবে। তবে, আশঙ্কাপ্রকাশ করে নিল জানিয়েছেন, রাশিয়ার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না যে তারা সৌদির পথে হাঁটবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার রিয়াদ জানিয়েছিল, আগামী ডিসেম্বর থেকে তেল উৎপাদন দিনপ্রতি ৫ লাখ ব্যারেল কমিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু, এদিন আরো ৫ লাখ ব্যারেল দিনপ্রতি কমিয়ে ফেলার ঘোষণা করে মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভারসাম্য আনতে তেলের উৎপাদন দিনপ্রতি ১ লাখ ব্যারেল কমাতেই হবে আমাদের।’ তবে, ব্যাপক হারে উৎপাদনে রাশ টানার যাবতীয় সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ভিয়েনায় ওপেকভুক্ত এবং ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলির বৈঠকের পরই নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সৌদি আরবসহ ওপেকভুক্ত ১৪টি তেল রফতানিকারী দেশ গোটা বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশের জোগান দেয়। এর আগে ওপেকভুক্ত আরেক রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিররাতের বিদ্যুৎমন্ত্রী সুহেল আল-মাজরোই জানিয়েছিলেন, অপরিশোধিত তেলের বাজারে ভারসাম্য আনতে হলে নীতি ও কৌশল বদলাতে হবে।
আর/এস