খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: চরিত্রহীনকাণ্ডে গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তি দাবি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আগাম জামিন নিয়েছেন। তারপরও তাকে গ্রেফতার করে সরকার কারাগারে পাঠিয়েছে।’
এ সময় তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘তুমিতো (আনিসুল হক) আইনজীবী, তোমার বাবাও স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। তুমি সংবিধান পড়, আইনের বই পড়। তুমি ভালো করেই জানো, মানহানির মামলা জামিনযোগ্য অপরাধ। তারপরও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কেন কারাগারে? তোমার কাছ থেকে মানুষ এসব প্রত্যাশা করে না।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে আজ সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ। সিলেট থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে, সফল না হওয়া পর্যন্ত চলবে।’
এ সময় তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা বাতিলের দাবি জানান জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেনের নির্দেশে ৭ দফার একটি ঘোষণাপত্রও পাঠ করেন। এগুলো হলো—
১. নির্বাচনের তফসিলের আগেই খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং তারেক রহমানের মামলার সাজা বাতিল।
২. জনগণ ভোটের মালিক। তাদের অধিকার তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৩. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করতে হবে।
৪. আইনের শাসন কায়েম করতে হবে।
৫. বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
৬. সুপ্রিম কোর্টসহ সব জেলা আইনজীবী সমিতিতে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট ৭ দিনের মধ্যে গঠন করা হবে।
৭. সারা বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ে একটি মহাসমাবেশ করা হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, সুব্রত চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই