বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বহির্বিভাগের মূল গেটে (ঢোকা বের হওয়ার প্রধান রাস্তা) রিপ্রেজেন্টেটিভরা রোগীদের প্রেস্ক্রিপসনের ছবি তুলে। আর এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির রোগীদের মধ্যে পড়ছেন। এটা হাসপাতালের বহির্বিভাগের নিত্যদিনের দৃশ্য। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এম কর্মকান্ড। কিন্তু হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কোন কার্যক্রম দেখা যায় না। হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল প্রশাসনও বিষয়টি দেখে না দেখার ভান করে। যার কারণে রিপ্রেজেন্টেটিভরা রোগীদের যাতায়াতের পথ আটকে প্রতিদিন ছবি তুলে। তারা রোগীদের তাড়াহুড়োর বিষয়টিও লক্ষ্য করে না। যার কারনে রোগীদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে বের হয়ে এলেই প্রায় ৩০/৪০ জন রিপ্রেজেন্টেটিভ রোগীদের ঘিরে ধরে। এরপর তারা প্রেস্ক্রিপসনটির ছবি তুলে নেন। উদ্দেশ্য চিকিৎসক তার কোম্পানির ওষুধ লিখেছে কিনা তাই দেখা। এটা দেখার জন্য তারা রাস্তার উপরই অবস্থান নেয়। কোন রোগী যাবে কি আসবে সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। শুধু তাই নয় প্রেস্ক্রিপসন না দেখানো পর্যন্ত তারা রোগীদের ছাড়েনা। তারা রোগীদের প্রেসস্ক্রিপসন দেখেই থেমে থাকেন না ছবিও তুলে নেয়। এমনকি রোগীদের তাড়া থাকলেও তারা ছাড় দেয় না।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার রোগীর জন্য একটা ওষুধ খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্ত গেট দিয়ে বের হতেই রিপ্রেজেন্টেটিভরা আমাকে ঘিরে ধরে। আমি তাড়াহুড়োর মধ্যে আছি বললেও না শুনে ছবি তোলার চেষ্টা করে। আরেক ব্যক্তি বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছে হেনস্তা হতে হয়। প্রশসনের উচিত বিষয়টির দিকে নজর দেয়া।
একজন রিপ্রেজেন্টেটিভের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির ওষধটি চিকিৎসক লিখল কিনা তাই দেখার জন্য রোগীদের প্রেস্ক্রিপসন দেখি। তবে এ ক্ষেত্রে জোর করা হয় না।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক কর্মচারী বলেন, ওষুধ কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের অনেক কিছু দেয়া হয়। সেটা ওই কোম্পানির ওষুধ লেখার বিনিময়ে। এ জন্য তারা প্রেসক্রিপসন দেখে নিজেদের ওষুধের ব্যাপারে নিশ্চিত হন।
রুহুল নামের আরেক রোগী অভিযোগ করে বলেন, রিপ্রেজেন্টেটিভরা যেভাবে পুরো রাস্তা ঘিরে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলেন তা অন্যায়। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ বা আনসার সদস্যরা কোন ব্যবস্থা নেয় না।
এ বিষয়ে কথা বলতে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।