খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ঐক্য প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই বি চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন এলডিপি সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ। ভাগবাটোয়ার রাজনীতির কারণে এই ঐক্য প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে না বলেও মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে, জামায়াত নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় শপথ নেয়া ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন, বিকল্পধারা সভাপতি ডাক্তার একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেকোনভাবেই যারা দেশের স্বাধীনতা বিরোধী তাদের সঙ্গে আমরা জোট করবো না।’ এ বিষয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী মনোভাব ব্যক্ত করেন এভাবেই।
রাজনীতির নতুন মেরুকরণ হিসেবে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার শর্ত দেয়ায় বি চৌধুরীর সমলোচনা করেন, ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ।
কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেন, ‘ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন জামায়াতের ভোটেই রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা কালে জামায়াতের মরহুম মতিউর রহমান নিজামী এবং মুজাহিদ দু’জনেই তার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিল। বঙ্গভবনের প্রতিটি আনুষ্ঠানে তিনি তাদেরকে দাওয়াত দিতেন। হঠাৎ করে তাদের প্রতি এত ঘৃণা কেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ায় অনুশোচনার কথা জানান, বিকল্পধারা বাংলাদেশ সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রথমত, ভুল হয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি মানুষই কোন না কোন ভুল করে। আমার দু’একটা ভুল থাকবে না? কেন? নিশ্চয় আছে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া চলমান সেটির ভবিষ্যত নিয়েও সংশয় আছে বলে মনে করেন এলডিপি নেতা। আর জোটের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তবে এ ধরনের জোট শেষ পর্যন্ত খুব একটা কার্যকর কোথাও হয়নি। কারণ যখনই ভাগাভাগির রাজনীতি আসে সেখানে সফলতা আসেনা।’
‘নিজের দলকে সংস্কার করে অথবা পুনর্গঠন করে যদি কেউ রাস্তায় নামে তবে তাদের পক্ষে যে কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব।’ দ্বারে দ্বারে না ঘুরে দল ও ২০ দলীয় জোটকে শক্তিশালী করতে পরামর্শ দিয়েছেন, এলডিপি সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ।
খবর২৪ঘণ্টা / সিহাব