নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাতির ভয় দেখিয়ে রাজশাহী মহানগরীর জনাকীর্ণ এলাকায় মাহুদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার, সোনাদিঘীর মোড় ও জিরোপয়েন্টে হাতির মাহুত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সালামির নামে টাকা তুলতে দেখা যায়। জনাকীর্ণ এই এলাকাটির কোন ব্যবসায়ী হাতিকে টাকা দেওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বড় হাতি নিয়ে তার মাহুত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আর তার বিশাল শুড় নাড়াচ্ছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাহুতের ইশারায় ব্যবসায়ীকে শুড় দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়েই রেহায় পেতে হয় তাদের। শুধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নয় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া
মোটরসাইকেল চালক ও পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়। প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। এ সময় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকটি দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা নেয় হাতুর মাহুত। নগরীর প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় ওই রাস্তায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। সেই ছোট রাস্তাতেই হাতি প্রবেশ করে। হাতির প্রবেশ দেখে লোকজন ভয়ে দুরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ওই এলাকায় যানজট থাকে। অনেক যুবক-যুবতীকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। অনেককে দুরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখাও যায়। সরু রাস্তার মাঝখানেই হাতিটি দাঁড় করিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধীকতার সৃষ্টি হয়। সোহানা নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সোনাদিঘীর মোড় থেকে মনিচত্বর পর্যন্ত এমনিতেই সরু রাস্তা। সব সময় ব্যস্ত থাকা এই ছোট রাস্তাটির মধ্যে হাতি ঢুকিয়ে মাহুত চাঁদাবাজি করছে। অথচ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। হাতির ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে সবাই। নাইমুর নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, টাকা
না নিয়ে হাতি যায়নি। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আশপাশ ফাঁকা হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।বিকেল সাড়ে ৫টার পরে হাতিটি চাঁদাবাজি করতে করতে মালোপাড়ার দিকে চলে যায়। এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, মাহুত হাতির ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে