খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিংলয়ের একটি আদালতে অনুপ্রবেশ আইনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে রায় আজ। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে তিনি শিলংয়ে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য করেছে আদালত।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘ এই সময় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। তবে রায় যা-ই হোক, যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন বিএনপির নির্বাসিত এই নেতা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা হয় সাবেক এই যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘আজ আমার মামলার রায়। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। প্রতি মুহূর্তে আমি দেশে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছি। এখানে আইনি জটিলতায় আটকে থাকলেও দেশেই আমার মন পড়ে আছে। সেখানে গিয়েও আমাকে আবার বেশ কিছু মামলায় আইনি মোকাবিলা করতে হবে।’
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে ২০১৫ সালের ১১ মে সকালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এর ঠিক দুই মাস আগে ১০ মার্চ ঢাকায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বিএনপির ওই সময়কার যুগ্ম-মহাসচিব। শিলং থেকে ফোনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শিলংয়ে ফরেনার্স অ্যাক্টে করা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়ে আগামীকাল (আজ) শুক্রবার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।
কারণ ভারতের আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কোনো কারণে রায় নেতিবাচক হলে উচ্চ আদালদের দ্বারস্থ হব।’ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। ৬২ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিঙ্ক এলাকায় খোঁজ মেলে সালাহউদ্দিনের।
ভারতে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরার সময় সেখানকার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। মিমহ্যানস, সিভিল হাসপাতাল ও নেগ্রিমস হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এর মধ্যে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট, ৪৬’-এ করা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারা অনুযায়ী বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। শিলংয়ের আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান তিনি। চার্জশিট হওয়ার আগে থেকেই মামলার কার্যক্রম চালানোর জন্য আইনজীবী এস পি মোহান্তকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সালাহউদ্দিনের পক্ষে আইনি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন