খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: শুরু থেকেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। ৬৫ রান যোগ হতে নেই ৫ উইকেট। পরে মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের লড়াই মাটি হয় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে। মাহমুদউল্লাহকে ভুল এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। এরপর ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেনও। তবে ১০১ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ দিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ জুটিতে দেড়শ পেরোনো স্কোর করে। ৪৯.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারানোর আগে টাইগারদের স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ১৭৩ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় সুপার ফোর পর্বে দুই দলের লড়াই। টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। চরম বিপর্যয়ের মাঝে নয় নম্বরে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪২ ও আট নম্বরে নেমে মাশরাফি ২৬ রান করেন। আট নম্বরে এই দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬ রান।
৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। একটু যখন ভরসা দেখাচ্ছিলেন এই দুজন, তখনই আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কাটা পড়তে হলো মাহমুদউল্লাহকে। ভুবনেশ্বর কুমারের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লাগলেও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আম্পায়ার ব্র্যাথওয়েট আঙ্গুল তুলে নেন।
আঙুল তুলে দিতেই হতবাক মাহমুদউল্লাহ অনেকটা দৌড়ে যেতে চাইলেন আম্পায়ারের দিকে। বলতে চাইলেন ব্যাট-প্যাড। সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে পরামর্শ চাইলেন রিভিউ নেওয়ার জন্য। কিন্তু জানতে পারলেন রিভিউ নেই। আগেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের রিভিউ। মাহমুদউল্লাহকে তাই একরাশ হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। ১০১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পরের ওভারে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেওয়া মোসাদ্দেক হোসেনও ফিরে যান ব্যক্তিগত ১২ রান করে।
আগের দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। ওই ম্যাচের পর ক্লান্তি দূর করার সুযোগও পায়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। নেমে পড়তে হয়েছে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। শুরু থেকে কি সেই ক্লান্তিই পেয়ে বসল টাইগার ব্যাটিং লাইনকে।
এরআগে আফগান ম্যাচের মতোই হতাশ করেন দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন লিটন দাস। ১৬ বলে ৭ রান করে কেদার যাদবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। জসপ্রিত বুমরাহর পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান নাজমুল হোসান শান্ত। ১৪ বলে ৭ রান করেন এই ওপেনার।
এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমও ভরসা হতে পারলেন না। সাকিবকে ফিরিয়ে দুজনের ২৬ রানের জুটি ভাঙেন এদিনই এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রবীন্দ্র যাদেজা। ১২ বলে ৩ চারে ১৭ রান করেন সাকিব। এরপর মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহীমকেও তুলে নেন জাদেজা। ৯ রান করা মিথুনকে এলবিডব্লিউয়ের শিকার বানান তিনি। মুশফিককে ফেরান চাহালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে।
৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যাওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের প্রতিরোধ তো ভেঙে দেন আম্পায়ার নিজেই। ২০১৫ বিশ্বাকপে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশ-ভারত উত্তাপের শুরু। এশিয়া কাপেও সেই ভুল সিদ্ধান্তের শিকার বাংলাদেশ।
তবে মাশরাফি ও মেহেদী হাসান মিরাজ আলাদা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। মিরাজ তার ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন ৫০ বলে ২টি করে ছক্কা ও চারে। মাশরাফি ৩২ বলে ২৬ রান করেছেন ২ ছক্কায়। ভুবনেশ্বর কুমারের ৪৭তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান মাশরাফি।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই