রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কর্মাচারীর নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠার পর প্রো-ভিসি আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এমন অবস্থায় চাকরিচ্যুত কর্মচারী বিপ্লবকে হলে এসে উত্তোলিত টাকা নেওয়ার জন্য হল প্রশাসন থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ কর্মচারী।
ভুক্তভোগী সে কর্মচারী বিপ্লব জানান, ঘটনা সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জেনেছি। তবুও প্রায় প্রতিদিনই ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এই কথা বলে হল থেকে বাড়িতে লোক পাঠানো হচ্ছে এবং আমাকে তাদের সাথে হলে গিয়ে টাকা নিতে চাপ দিচ্ছে তারা। বলা হচ্ছে, একবার গিয়ে প্রাধ্যক্ষ স্যার বা হিসাবরক্ষক জাকিরের সাথে দেখা করে ওই টাকা নিতে।
তিনি আরও জানান গত রবিবার ও সোমবার পর পর দু’দিন বাড়িতে লোক পাঠিয়েছে হল প্রশাসন। এর আগেও আমাকে টাকা দেওয়ার কথা বললে আমি হলে যাই। কিন্তু টাকা দেয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে ওই সময়ে প্রাধ্যক্ষ আমার গায়ে হাত তুলেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮০ তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সংবাদ প্রকাশ ও তদন্ত কমিটি গঠনের পর থেকে বিপ্লবকে টাকা নিতে চাপ দেওয়া শুরু হয়।
এর আগে নেশা করার অভিযোগ এনে শাহ মখদুম হলের ডাইনিং বয় বিপ্লব দে কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু পরে ঔ কর্মচারীর নামে হল থেকে বেতন উত্তোলন করা হচ্ছে, সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ