খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমাদের আন্দোলন স্বাধীনতা বিরোধী ও ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। যারা গণতন্ত্র, সুন্দর বাংলাদেশ এবং স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান আমরা তাদের পক্ষে আছি, সঙ্গে আছি।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঐক্যের মাধ্যমেই জনগণের বিজয় অর্জিত হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর ‘প্ল্যান-বি পজিটিভ’ শীর্ষক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বি চৌধুরী।
মাহী বি চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
বি চৌধুরী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই একদলীয় শাসন দেখেছি, গণতন্ত্রের নামে দলীয় শাসন দেখেছি এবং স্বৈরশাসন দেখেছি ও দেখছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে জনগণের শাসন এখনো দেখিনি। এই স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন। যারা দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গেই আমরা আছি।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জানেন যে, দেশে আজ কী অবস্থা চলছে। আইনের শাসন নেই, বিচার নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সকল গণমাধ্যম সরকার নিয়ন্ত্রিত।
তিনি বলেন, এসব থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের ভারসাম্যের রাজনীতির প্রয়োজন। যেমন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দল থেকে স্পিকার নির্বাচিত হলে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হতে হবে বিরোধী দল থেকে। এভাবেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও দেশের রাজনীতিতে ভারসাম্য আনতে হবে।
জাতীয় ঐক্যের সাফল্য নিয়ে গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ একত্রিত হলে অসম্ভবের কিছুই নেই। আমরা আশা করি, খুব শিগগিরই সেই গণ-ঐক্যের মাধ্যমে স্বৈরশাহী বিদায় নেবে।
আ স ম আবদুর রব বলেন, আমাদের আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকার ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে। এর বাইরে যুক্তফ্রন্ট যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে- যারাই এসব প্রস্তাব মেনে নিয়ে এগিয়ে আসবেন তাদেরকেই আমরা স্বাগত জানাব।
তিনি বলেন, দেশের এই অর্বাচীন সরকার মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ন্যায় বিচার নেই, মৌলিক অধিকার নেই। এসব অধিকারসহ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের আজকের আন্দোলন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের চরম সংকটকালেও এই তরুণদের দেখে আজ আমরা শতভাগ আশাবাদী। কিছুদিন আগেও আমরা এই তরুণ যুবকদের অথর্ব ও স্বার্থপর ভেবেছিলাম। কারণ দেশ ও দেশের রাজনীতি নিয়ে এদের কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু সেই তরুণ-যুবক ও শিশু-কিশোররা এবার কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে যা দেখিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জেএন