ওমর ফারুক :
পৌষ মাসের শুরু থেকেই রাজশাহী অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
সেই সাথে প্রায় সারাদিনই বইছে বাতাস। বাতাসে ঠান্ডা কিছুটা বাড়ছে। অথচ কয়েকদিন আগেও তেমন একটা শীতের দেখা মেলেনি। রাতের বেলাতেও এ অঞ্চলের মানুষ কম পোশাক পরেও বাইরে বের হয়েছে। কিন্ত এখন সকালে বাইরে শীতের পোশাক ছাড়া বের হওয়াতো দুরের কথা দুপুরের পর থেকেই শীতের পোশাক পরে বের হতে হচ্ছে।
সন্ধ্যা থেকে রাত যতই গভীর হয় শীতের দাপট ততই বেড়ে যায়। শিশু ও বয়ষ্করা শীতজনিত বিভিণœ রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে।
শীত নিবারণে মানুষ ছুটছেন গরম কাপড়ের দোকানে। লেপ-তোষকের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। তবে শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশ দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বইয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কোনো কোনো এলাকায় এরই মধ্যে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় প্রতিদিনই কমছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীত নিবারণে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী এসব দোকান থেকে পোশাক কিনছেন নি¤œ আয়ের মানুষেরা। তবে রাজশাহী মহানগরীতে শীতের প্রভাব কম থাকলেও গ্রাম অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়ছে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে আকাশ।
ফাইল ছবি
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা ও আশেপাশের জেলার গ্রাম এলাকায় মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জালাচ্ছেন। আর যারা বিত্তবান তারা গরম কাপড় পরেই শীত নিবারন করছেন। প্রায় সারাদিনই গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতে করে দিন দিন শীতের তীব্রতাও বাড়ছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ক্রমাগত রাজশাহীতে তাপমাত্রার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। ১৫ তারিখে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৯ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিল ১৩ দশমিক ০৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৬ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও গতকাল রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ০৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গতকাল সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ০৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ ও সকাল ৯টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রতিদিনই তাপমাত্রার পরিমাণ কমেছে। তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কমতে পারে। সামনে সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে শৈত্য প্রবাহ হতে পারে। যাতে শীতের তীব্রতা অরো বাড়তে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমেছে। আগামী সপ্তাহের দিকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ নামতে পারে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে