1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪ পূর্বাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ সেপটেম্বর, ২০১৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: ২০১৫ সালে পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ১৪৫ হড়মা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের হড়মা নামক গ্রামে ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয়। যা ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে পদ্মা ভাঙ্গনে বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হলে ১ বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়টি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের হরিপুর ঢাবপাড়ায় স্থাপন করা হয়। শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম।

২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরিক্ষায় ৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস করে। ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরিক্ষায় ২২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরিক্ষার্থীসহ ১৩০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন। চলতি বছরের ১৯ জুন হঠাৎ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম  বন্ধ ঘোষণা করেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন। এলাকাবাসী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, হরিপুর ঢাবপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপণের জন্য অনেকদিন থেকে এলাকাবাসী চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তৎকালীন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সদর আসনের সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় ১৪৫ হড়মা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঢাবপাড়ার  ৫০ শতক খাস জমিতে স্থাপণ করা হয়। শুরু হয় পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের থর নির্মাণের লক্ষ্যে এলাকাবাসী ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে প্রধাণ শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের হাতে তুলে দেন। এলাকাবাসীর দাবী মাটি ভরাট, ঘর নির্মাণ, অফিস ঘর নির্মাণ করতে প্রধাণ শিক্ষিকা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেন। বাকী ৬৫ হাজার টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। বিপত্তি বাঁধে এলাকাবাসী যখন বাকী ৬৫ হাজার টাকার চাইতে গেলে।

প্রধাভ শিক্ষিকা হিসাব দিতে টালবাহানা শুরু করলে এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানালে প্রধাণ শিক্ষিকা বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদাণ করেন। পরবর্তীতে প্রধাণ শিক্ষিকা মমতাজ বেগম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুনের সাথে যোগসাজস করে চলতি বছরের ১৯ জুন বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। মাঝ পথে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্তানদের শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এমপির অনুরোধও রাখেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। অভিভাবক প্রতিনিধি ঢাবপাড়া নিবাসী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হবার পর জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এমপির শরনাপন্ন হলে তাঁরা বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ জানান।

কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন অদ্যাবধি বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন বলেন, শিক্ষা বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। আইনগত জটিলতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে,পৌর এলাকার একটি জায়গাতে পাঠদান শুরু করা হবে।

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST