আবু মুসা বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: দুই বছর পর মায়ের সাথে দেখা মিললো মেয়ে (আদরীর) লাশ। শনিবার নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ক্লিক মোড়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে আদরীসহ তার দুই সন্তানের প্রাণ। গত দুই বছর মায়ের সাথে দেখা হয়নি আদরীর বিশ্বাস ও তার দুই সন্তানের। আদরী বিশ্বাস গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরি ইউনিয়নের দোয়ারী গ্রামে স্বামীর মন্টু রোজারিওর সাথে বসবাস করতেন। তাদের বিয়ে হয়েছিল ৫ বছর আগে। জন্ম নিয়েছে ৯ মাস বয়সী স্বপনা ওরফে মাহী রোজারিও।
রোববার সকালে কথা হলো মন্টু রোজারিওর সাথে, ঈদের ছুটিতে মায়ের সাথে দেখা করার জন্য গাজীপুর থেকে একটি বাসে তুলে দেন দুই সন্তানসহ আদরীকে। বনপাড়ায় নেমে লেগুনায় চড়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি মায়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারা। আদরীর শেষ কথা হয় মন্টুর সাথে বনপাড়া বাইপাস লেগুনা উঠার আগে। বলেছিলো পৌছে ফোন দিবে। কিন্তু কয়েক
ঘন্টাপরেও সেই ফোন আর এলোনা আদরীর কাছে থেকে। পরে তিনি নিজেই স্ত্রীর ফোনে কল দিলে অপরিচিত কণ্ঠে তাকে জানানো হয় আদরীসহ তার দুই সন্তান সড়ক দূর্ঘটনায় চলে গেছে না ফেরার দেশে। তারপর সেই ফোনে আবারও কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আদরী নিজে পছন্দ করে বিয়ে করে ছিলেন তাকে। পরিবার খুব একটা সম্মতি না দিলেও বিরোধীতা করেন নাই। খুবই সুখের ছিল তাদের সংসার। মূহুর্তেই সব শেষ হয়ে গেল তার সব কিছু মনে হচ্ছে স্বপ্নে দেখছে। মুলাডুলি গ্রামে আদরীর মায়ের
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের শোকের মাতম। আদরীর মা কমলা বিশ্বাস মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরে পেলেই ভুল বকছেন। তার গগন বিদারী আর্তনাদে আকাশ-বাতাস পুরো গ্রামটা ভারী হয়ে উঠছে।এই শোকে তাদের কাছে কাউকে পাইনি,তাদের ৩ জনের লাশ নিয়ে যাওয়ার পর কোন প্রকার প্রশাসন, চেয়ারম্যান,এমনকি মেম্বার পযন্ত আসেনি এমন অভিযোগ করেন তার পরিবারে পক্ষে থেকে নিঝুম রোজারিও।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন