নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিলে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। মিটার রিডাররা ইচ্ছামত ইউনিট লিখে এ বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে প্রতি মাসেই ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। এ নিয়ে গ্রাহকরা নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি নেসকোর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছে না বলে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।
নগরীর বল্লভগঞ্জ এলাকার নজরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, গত মে মাসে তার মিটারে ৬৪০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল আসে ৪ হাজার ৭১৬ টাকা। জুন মাসে ৭৪০ ইউনিটের বিল আসে ৫ হাজার ৮৩৯ টাকা এবং জুলাই মাসে ১ হাজার ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল আসে ৮ হাজার ৭৬১ টাকা। এভাবে প্রতি মাসেই তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল অসামঞ্জস্য হারে আসতে থাকে। ওই এলাকার মিটার রিডার সাইফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাকে জানান, মিটার দেখেই বিল দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ সঠিক বিদ্যুৎ বিল দিতে বলেছেন। তাই এভাবে করা হয়েছে। সাইফুল আরো জানায়, যদি বিল বেশি হয়ে থাকে তাহলে আগামী মাসে সেটি কমিয়ে দেওয়া হবে। ওই বিদ্যুৎ গ্রাহক আরো অভিযোগ করেন, মিটার রিডাররা ইচ্ছামত বিল দিয়ে থাকেন। এটির একটি সুরাহা করা দরকার।
শুধু ওই গ্রাহকই নয় হড়গ্রাম এলাকার আবুল খায়ের নামের আরেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, জুন মাসে তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছিল এক হাজার ২৩৭ টাকা। পরের মাসে আগে সাড়ে ৭০০ টাকা। তার দুই মাস আগে বিদ্যুৎ বিল আসে সাড়ে ১১০০ টাকার একটু বেশি। এভাবে প্রতি মাসেই অসামঞ্জস্য বিল দেওয়া হচ্ছে। মিটার রিডাররা ইচ্ছামত ইউনিট লিখে নিয়ে গিয়ে বিল কমবেশি করে। যাতে করে গ্রাহকদের ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তাই বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা জরুরী।
আরেক গ্রাহক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এক মাসে তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল আসে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকার উপরে। অথচ তারা বাড়িতে শুধু ফ্যান, টিভি ও ফ্রিজ চালান। তারপরও অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিল আসে। এভাবে একের পর বিদ্যুৎ বিল আসছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতিকার করা উচিত। এ বিষয়ে নেসকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে