নিজস্ব প্রতিবেদক :
সূর্যের তীব্র প্রখরতায় ভ্যাপসা গরম ও ঘন ঘন বিদ্যুতের যাতাযাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার বাসিন্দারা। গত কয়েকদিন দিন ধরেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় পড়ছে তাপদাহ। একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন যাতায়াত দুইয়ে মিলে নগরবাসী চরম নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিকরা। কারণ তারা বেশি সময় ধরে রাস্তায় থাকতে পারছেন না। আর শ্রম না দিলে ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ায় দুস্কর হয়ে পড়বে এ জন্য তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
গত সপ্তাহের দিকে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। এ কারণে গরম কমছে না। সূর্যের প্রখরতা না কমায় তীব্র তাপদাহ পড়ছে।
তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। তাপদাহের সাথে সাথে দিনরাত বিদ্যুতের আসা যাওয়া চলছেই। একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টাব্যাপী সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে না। গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত নগরীর হড়গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে অন্তুত ১০ বার বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।হড়গ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার সাইদুল নামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনরাতে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে রাতভর সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তবে নগরীর মধ্য এলাকায়ও লোডশেডিং হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। শামিউল নামের এক রিক্সাচালক বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর গরম লাগছে। গরমের কারণে রাস্তায় থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুর হলেতো বের হওয়া যাচ্ছে না। তবে রাস্তায় বের না হয়ে উপায়ও নেই। তাই বাধ্য হয়েই বের হতে হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলাতেও প্রচুর গরম পড়ছে। সেই সাথে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। বিশেষ করে গত দুদিন থেকে আরো বেশি ভ্যাপসা গরম পড়ছে। গরমে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। তাপমাত্রার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
রাজশাহী নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে