খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ও জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমাও রয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার স্বনির্ভর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। তাদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা আমাদের সময়কে জানান, এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত দুজনকে হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরেই তারা মারা যান। যারা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু আমাদের সময়কে জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার সকালে ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমাসহ চারজন নিহত হন।
ওসি জানান, দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বাকি হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। হতাহতদের নির্দিষ্ট সংখ্যা পরে জানানো হবে।
তবে গোলাগুলির এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ইউপিডিএফ-এর প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতিকে (এম এন লারমা) দায়ী করছে। তবে এম এন লারমা নেতা সুধাংকর চাকমা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর খাগড়াছড়ি শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন