নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতুড়ি ও পাইপের আঘাতে গুরুতর আহত ভাংড়ি ব্যবসায়ী রাজ্জাক (৩৫) এর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি নগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। চলতি মাসের ৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা পিটিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। রাজ্জাক পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করতো বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে।
নিহত রাজ্জাকের বড় ভাই শাহিন জানান, চলতি মাসের ৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার খাইরুল ও বান্দর মানিকসহ ৭/৮ জন তাকে চা খাওয়ার নাম করে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর তারা তাকে হাতুড়ি ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আদমরা করে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাকে রাসিকের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সুমনের বাড়ির পাশের অন্ধকার গলিতে আহতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে দীর্ঘ ১১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। রাজ্জাক ভাংড়ি ব্যবসা করার পাশাপাশি পুলিশের সোর্সও ছিল।
তিনি অভিযোগ করে জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা রাজ্জাক আহত হওয়ার পর তার বাবা নুর ইসলাম চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে। থানার ওসি হুমায়ন কবির অভিযোগ না নিয়ে বলেন, আগে রাজ্জাক সুস্থ্য হোক তারপর অভিযোগ নেওয়া হবে। যদি ওসি তখন অভিযোগ নিতেন তাহলে আসামীরা এতদিন গ্রেফতার হয়ে যেতো। এখনতো আসামীরা গা ঢাকা দিবে। এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি
হুমায়ন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজ্জাক মারা গেছে। পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো পরিবারের এমন দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সোর্স ছিল কিনা সেটা পরের ব্যাপার। সে মারা গেছে এটাই বড় কথা। আগে অভিযোগ নেননি কেন এমন প্রশ্ন করার আগেই তিনি ব্যস্ত আছি বলে ফোন সংযোগটি কেটে দেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে