বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় মায়ের বকুনি খেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ২৭ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামা খাতুন (১৮) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার চক বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সেলিম রেজার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্যামা খাতুন ছোট বেলা থেকে তার নানা বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করত। সে বাঁশ বাড়িয়া ডিগ্রী কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই পরীক্ষায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সে ফেল করে।
গত ১৯ জুলাই ফল প্রকাশের পর ফেল করায় তার মা সুফিয়া বেগম শ্যামা খাতুনকে বকা-ঝকা করে। মায়ের বকুনি খেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সে নানার বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে রশি কেটে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ওইদিন থেকে তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ঘটনার ২৭ দিন পর মঙ্গলবার ভোর রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে শ্যামা খাতুন মারা যায়। পরে ওইদিন বেলা ৩ টায় জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন