1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাঘায় পদ্মার চেনারুপ হারাচ্ছে - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

বাঘায় পদ্মার চেনারুপ হারাচ্ছে

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১৮

গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন,বাঘা (রাজশাহী) : শহীদদের স্মৃতি নিয়ে বিদ্যালয়ের একপাশে দাড়িয়ে থাকা শহীদ মিনারটিও রাতারাতি গ্রাস করবে রাক্ষুসি পদ্মা। পদ্মার করাল গ্রাসে অবশেষে নদী গর্ভে চলে গেল চক রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার (৭-৮-১৮) সন্ধ্যার আগে বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবনের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়েছে পদ্মায়। ২০১২ সালে ভাঙনের কবলে পড়ায় কালিদাশখালি মৌজায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয়টি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৯৮ সালেও ভাঙনের কবলে পড়েছিল বিদ্যালয় ও বাজার। এবারও ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলিন হয়ে গেল বিদ্যালয় ও বাজার। বিদ্যলয়টি ভেঙ্গে পড়ায়, লেখা পড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের ৬’শ শিক্ষার্থী। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনিদিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষনা করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রমত্তা পদ্মার ফুলে ফেঁপে ওঠা পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গছে পদ্মার পাঁড়। উত্তাল পদ্মার রুদ্ররুপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বাজার,আবাদী জমি কেড়ে নেওয়ার দৃশ্য দেখতে নদীর পাড়ে নির্বাক চিত্তে দাড়িয়ে হাজারো মানুষ। শুধু ওই বিদ্যালয় ও বাজারই নয়, ভাঙনের কবলে পড়েছে, উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের-গোকুলপুর, জোতকাদিরপুর, কিশোরপুর, আলাইপুর, মালিয়ানদহ, চকরাজাপুর ইউনিয়নের- দিয়ারকাদিরপুর, টিকটিকিপাড়া, চকরাজাপুর, কালিদাসখালি ও লক্ষীনগর এলাকা।

রাজশাহীর বাঘায় গত তিন সপ্তাহের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে, ১০টি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিসহ গাছপালা, পিয়ারা বাগান, পাট, আখসহ নানা প্রকার সবজি ক্ষেত। এবার ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন-পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আজিবার মালিথা, আস্তুল মালিথা, আব্দুল মতিন মালিথা, জোত কাদিরপুর গ্রামের মুনছুর মালিথা, কুদরত আলী, শমসের আলী, পাকুড়িয়ার হাফিজুর রহমান, নয়ন পীর, আসাদুজ্জামান,শরিফুল, আলাইপুরের-চাহার মন্ডল,নাজিম সরকার, নজু প্রামানিক,আজাহার, টুলু মন্ডল,তেথুল মন্ডল সোবহান মল্লিক, চকরাজাপুর ইউনিয়নের- জামাল উদ্দিন, শামসুদ্দিন রেন্টু, আজাদ শেখ, গোলাম মোস্তফা, মনছুর শেখ ও বাবলু দেওয়ানসহ অর্ধসহ¯্রাধিক কুষক।

প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান, গত ১৪ বছরে ২বার ভাঙনের কবলে পড়েছে চরাঞ্চলের চকরাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চকরাজাপুর বাজার। ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম ও ফকরুল হাসান বাবলু জানান, গত তিন দশকে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে- নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্টান,বাজার,রাস্তা-ঘাটসহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বিভিন্ন সময়ে বসত ভিটা হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা বলেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাঃ নাসিমা খাতুন সম্প্রতি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST