নিজস্ব প্রতিবেদক :
সহমর্মিতা পেতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষের পথসভায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. একেএম হাফিজ আক্তার। রোববার দুপুরে আরএমপির সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গত ১৭ জুলাই নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন সাগরপাড়া এলাকায় বিএনপি পথসভার আয়োজন করে। পথসভার শুরুতেই কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেল যোগে এসে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ওই দিন রাতেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামী করা হয়।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে ঘটনার পর বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে একজনকে আটক করে। আটকের কাছ থেকে পুলিশ কিছু তথ্য পায়। এরমধ্যেই ১৯ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাই তাইফুল ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মতিউর রহমান মন্টুর একটি ফোনালাপ অডিও রেকর্ড পুলিশের হাতে আসে। ওই অডিও রেকডে মন্টুকে বলতে শোনা যায়, গত পরশু দিন যে ঘটনা ঘটেছে শুনছোতো ? একটু শুনেছি, বেশি শুনিনি, ওই বোমা ফাটানো কথা। কারা করলো তুমি কি জানো? তা জানি না। যাক আমি যে কথা বলবো সেটা হজম করবা। জাগা মতো পারলে বলবা। আমাদের দুই ভাই জড়িত। বিএনপির লোকদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। ভাইয়ের কাছে ‘ক্রেডিট’ নেওয়ার জন্য। আমার নির্দেশে কাজ করা হয়েছে। ঠিক আছে। কোন দুই ভাই? নাটোর ও সিংড়ার। খালেক ও জাবেদ। জাভেদ হলো শাহিন শওকতের লোক।
এ রেকর্ড হাতে আসার পর গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মন্টুকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, অডিও রেকর্ডে যে দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা এখনো গ্রেফতরা হয়নি কেনো? তিনি উত্তরে বলেন, জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মামলা ছাড়াও পুলিশ গ্রেফতার করছে ধানের শীষ প্রতীকের লোকজনকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। পুলিশের নিয়মিত গ্রেফতার অভিযান চলবে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। এ ছাড়া আগে আটক হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমাণ্ডে আনা হবে বলেও তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিসি বোয়ালিয়া আমির জাফর, এসি হেডকোয়ার্টার ইফতেখায়ের আলম ও এসি বোয়ালিয়া একরামুল হক।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।