নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নগরজুড়ে টানানো অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ হয়নি এখনো। ইসির দেওয়া ২৪ ঘণ্টা সময় পার হয়ে গেলেও প্রার্থীরা তাদের ফেস্টুন অপসারণ করেন নি। তবে কোন কোন প্রার্থীকে ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা গেছে।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই রাসিকের মেয়র ও সাংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে যায় রাজশাহী মহানগর। নগরের এমন কোন জায়গা ছিলনা যেখানো পোস্টার ও ফেস্টুন ছিল না। আবার কোন স্থানে দেওয়ালে মাপের থেকে কয়েকগুণ বড় ব্যানার টানানো দেখা গেছে প্রার্থীদের। এসব ফেস্টুন ও ব্যানারগুলো নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেই লাগানো হয়েছিল।
৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অনেকে অভিযোগ উঠে আসে।
সভায় নির্বাচন কমিশনার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় , ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অসঙ্গতিপূর্ণ পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক প্রার্থীর কর্মীদের তাদের লাগানো ফেস্টুন ও ব্যানার তুলে নিতে দেখা যায়। তবে নগরীর বেশির ভাগ এলাকাতে এখনো শোভা পাচ্ছে এসব ব্যানার ও ফেস্টুনগুলো।
অনেক প্রার্থীর কর্মীরা বড় ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ছোট পোস্টার লাগিয়েছে। আবার কেউ কেউ তুলেইনি। আবার কোথাও কোথাও সাইজের থেকে কয়েকগুণ বড় ব্যানার লাগানো অবস্থায় দেখা গেছে। এসব ফেস্টুন অপসারণ হয়নি এখনো। তবে ইসির দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় যেসব প্রার্থীর অসঙ্গতিপূর্ণ ফেস্টুন রয়েছে সেগুলো সরানোর জন্য কাজ শুরু করবে ইসি।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটানিং কর্মকতা আতিয়ার রহমান বলেন, যেসব প্রার্থীর অসঙ্গতিপূর্ণ ফেস্টুন রয়েছে সেগুলো সরানোর জন্য শুক্রবার থেকে মাঠে নামবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।