নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত সাত বছরের মধ্যে ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট সবথেকে বেশি খারাপ হয়েছে। এবার শতকরা পাসের হার কমার সাথে সাথে জিপিএ-৫ ও ফেলের সংখ্যাও বেড়েছে। বলা চলা রাজশাহী বোর্ডে এবার ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। তবে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষ নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনারুল হক প্রামানিকের দাবি, সারাদেশের তুলনায় রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট খারাপ নয়। পুরো দেশজুড়েই এমন অবস্থা। এবার প্রথম সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। এ ছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান ও আইসিটি পরীক্ষাও পরীক্ষার্থীদের খারাপ হয়েছিল। যার প্রভাব রেজাল্টের উপর পড়েছে।
কিন্ত এই বিগত সাত বছরের মর্ধে সর্বনিম্ন। এত কম রেজাল্ট সাত বছরের মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে হয়নি। এবার ১ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যও তুলনামূলক হারে অনেক বেশি। নিচের পরিসংখ্যানে গত সাত বছরের রেজাল্ট তুলে ধরা হলো-
২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৮.৪৪ শতাংশ, ২০১৩ সালে ছিল ৭৭.৬৯ শতাংশ, ২০১৪ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ২০১৫ সালে ছিল ৭৭.৫৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ছিল ৭১.৩০ শতাংশ ও ২০১৮ সালে সর্বনি¤œ রেজাল্ট ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত সাত বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, জিপিএ-৫, পাশকৃত ছাত্রের সংখ্যা, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও এক বিষয়ে ফেলের সংখ্যা সবদিক থেকেই এবার রাজশাহী বোর্ডে বিপর্যয় নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, এবার মোট পাস করেছে ৯২ হাজার ৭৪ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৩৮ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২ হাজার ২৩৪ ও ছাত্রী ১ হাজার ৯০৪ জন।
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৬ জন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩০ জন। উপস্থিত ছাত্রের সংখ্যা ৭৬ হাজার ২২৯ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ৬৩ হাজার ১০১ জন। বহিস্কৃত পরিক্ষার্থীর সংখ্য ২৮ জন। এক বিষয়ে ফেল করেছে ৩৫ হাজার ৩৭ জন। ৬টি কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি। ১৯ কলেজ থেকে ১০০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ৭৫৬টি কলেজের ১৯৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে