1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ জুলা, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, নানির ব্যবস্থাপত্র নেয়ার জন্য তাকে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডেকে পাঠান ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী। সে সেখানে গেলে ওই চিকিৎসক দরজা বন্ধ করে দেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে।

মঙ্গলবার সিলেটের মহানগর তৃতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেন।

আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আকবর হোসাইন বলেন, ওই স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাহায্য নেয়া হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তা নেয়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে এ শঙ্কার কথা জানান ওই ছাত্রীর বাবা।

সোমবার বিকেলে ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর তাকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ওসিসিতে মেয়ের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে কিনা, আমার সন্দেহ হচ্ছে। সবকিছু এত দ্রুত হওয়ায় সঠিক রিপোর্ট নিয়ে আশঙ্কা করছি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনা ঘটেছে ওসমানী হাসপাতালে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই হাসপাতালেরই একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এখানেই আবার মেয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেজন্য সঠিক রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে।

ভর্তির চার ঘণ্টার মাথায় ওই স্কুলছাত্রীকে ছাড়পত্র দেয়ার ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসির দায়িত্বে থাকা এসআই শাহীন পরাভিন বলেন, সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সোমবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়।

গত রোববার দিনগত (১৫ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহী নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরদিন দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এদিন রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা কোতোয়ালি থানায় মাহীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-২৬)।

পরে মাহীকে অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক মোসতাইন বিল্লাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST