খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক :
মাত্র চার বছর বয়সে ভিয়েতনাম থেকে উন্নত জীবনের আশায় পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন তেন লি। এখন তিনি ব্রেইন রিসার্চ কোম্পানি ‘ইমোটিভ’ এর সিইও।
মা, দাদী ও বোনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেয়ার সময় দক্ষিণ চীন সাগরে বোটে ৫ দিন কাটিয়েছিলেন লি। ১৫০ জনের ওই বোট থেকে একটি ব্রিটিশ অয়েল ট্যাংকার তাদের উদ্ধার করে এবং পরে তারা তিন মাস মালয়েশিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর তারা অস্ট্রেলিয়া আসেন।
৪১ বছরের লি এখন ইমোটিভের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। এই ব্রেইন রিসার্চ কোম্পানিটি চর্তুমাত্রিক প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে মানুষ মস্তিষ্কের সংকেতের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানোর দিক নির্দেশনা দিতে পারে। মেলর্বোন মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা লি একজন আইনজীবি এবং সফটওয়ার উদ্যোক্তা। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইমোটিভ। লি বলেন, মানুষের মস্তিষ্কে কোটি কোটি নিউরন আছে। যখন এই নিউরনগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এক বৈদ্যুতিক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। আমরা এই বৈদ্যুতিক সংকেতকে হেডসেটের সঙ্গে সংযোগ করেছি। এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ভাষা গুলোকে কমান্ডে রুপান্তর করেছি। যার মাধ্যমে মানুষ একটি রোবটকে নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি চালাতে পারে। সূত্র: আমাদের সময়.কম
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে