1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ! কিন্তু ৫টি সত্যি জামাইরা যেন ভুলেও শ্বশুরকে না বলেন - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ! কিন্তু ৫টি সত্যি জামাইরা যেন ভুলেও শ্বশুরকে না বলেন

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা বিনোদন,ডেস্ক: ‘‘তুমি কি মদ খাও?’’ নিজের হবু শ্বশুরের সামনে প্রথমবার দাঁড়িয়ে যদি প্রথম বাক্যটিই এটা শুনতে হয়, তাহলে কার বুক কাঁপবে না বলুন তো! আপনি যদি মদ্যপান করেন তাহলে ‘হ্যাঁ’ বললেও বিপদ আবার ‘না’ বললেও বিপদ।

এমন বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে অবশ্য আমার কানের পাশ দিয়ে তির চলে গিয়েছে। কারণ এই প্রশ্নের উত্তর হবু শ্বশুরই একরকম দিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গে। ‘‘আসলে মদ খাওয়ার কোনও সঙ্গী তেমন পাই না তো। তুমি মদ খেলে আমার একটু সুবিধা হয় আর কী।’’

এমন সৌভাগ্য সব মদ্যপায়ী জামাইয়ের হয় না অবশ্য। বিশেষত নিজের হবু জামাইয়ের ঠিকুজিকুষ্ঠি যে ভাবে দেখে নেন শ্বশুরেরা, সেখানে এই রকম এক একটা প্রশ্নই একটা করে পরীক্ষা।

হবু জামাই হোন বা বিয়ের পরে জামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই যান, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে কখনও সত্যি কথা না বলাই উচিত। দেখে নেওয়া যাক এমন ৫টি পরিস্থিতি যেখানে মিথ্যে বলাই শ্রেয়—

১। মদ যদি সত্যিই খান, তাহলেও শ্বশুরের সামনে সত্যি কথাটি শুরুতেই না বলা ভাল। এমন প্রশ্ন আসলে আপনার ‘চরিত্রের’ পরীক্ষা হতে পারে। আপনার শ্বশুর মদ্যপায়ী হলেও তিনি পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে প্রশ্নটি করতে পারেন। সুতরাং সপাটে মিথ্যে কথা বলে ফেলুন। পরে পরিস্থিতি পুরোটা বুঝে সত্যি বলুন।

২। শ্বশুরের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ঠিক মতো প্ল্যান করে তৈরি হয়নি বা কোনও খুঁত আছে মনে করলেও সত্যি কথাটি এড়িয়ে যান। যত খারাপই লাগুক, পুরো চেপে যান আপনার ভাবনা। মনে রাখবেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা তাঁর বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বা ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। সুতরাং তাঁর পরিশ্রম বা কষ্ট বা অর্থের সম্মান আপনাকে করতেই হবে। নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিন্তু আপনার শ্বশুরের খুব দুর্বল জায়গা।

৩। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ করতে যাবেন না শ্বশুরের কাছে। মনে রাখতে হবে নিজের মেয়ের প্রতি প্রত্যেক বাবারই স্নেহ অগাধ। মেয়ের সম্বন্ধে কোনও খারাপ কথাই বাবা শুনতে চাইবেন না। কাজেই ‘‘আমার মেয়ে যা দারুণ রান্না করে বা আমার মেয়ের কোনও দোষই খুঁজে পাবে না,’’ এমন কথা শ্বশুরের মুখে শুনলেও, আপনার যদি ভিন্ন মতও থাকে, তা ভুলেও বলবেন না তাঁর সামনে।

৪। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খেতে বসে খাবারের স্বাদ নিয়ে কিছু বললে যেমন শাশুড়ির খারাপ লাগতে পারে, তেমন খাবারের উপাদান নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে চটতে পারেন শ্বশুর। মনে রাখতে হবে, জামাইয়ের জন্য সেরা মাছ, সেরা সবজি, সেরা মিষ্টি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন শ্বশুরেরা। কিন্তু তাতে যদি কোনও খুঁতও দেখেন, মুখ বন্ধ রাখুন। কেমন হয়েছে মাছের সাইজটা জানতে চাইলে মন না চাইলেও মিথ্যেটাই বলুন।

৫। আর হ্যাঁ নিজের বেতন নিয়ে কখনও সত্যি কথাটি বলতে যাবেন না শ্বশুরকে। যতই রোজগার করুন আপনার শ্বশুরের কাছে সেটা কম লাগতে পারে। সুতরাং বেতনের অঙ্ক নিজের মনেই রাখুন। ইনিয়ে বিনিয়ে একটা ঝাপসা উত্তর দিন। সত্যি অঙ্ক কখনও নয়।

এই টিপসগুলি অবশ্য সাধারণ ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। এর থেকেও হয়তো অনেক গম্ভীর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি, যেখানে সত্যি কথা নৈব নৈব চ। আবার আমার মতো ভাগ্যবান হলে, শ্বশুর যদি জামাইকে নিজের ছেলের মতো বা বন্ধুর মতো মনে করেন, তাহলে তো কথাই আলাদা। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরও হবে অন্যরকম!

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST