খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বালতি পানিও আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানী নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন-গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সেখানে তিনি একটি ভবন উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন ও একটি ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এসব (ডি-লিট ডিগ্রি) বিষয়ে আগ্রাহ রয়েছে। তাই যেখানে ডাকে, সেখানেই তিনি যান।
শেখ হাসিনার এবারের সফরেও বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোন এজেন্ডা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে অগ্রগতির কোনো তথ্য জানাতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রিজভী বলেন, গত আটটি বছর ধরে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে আসছে যে, তারা ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে যাচ্ছে। বন্ধুত্বের এত দহরম মহরম। অথচ আট বছরে শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বালতি পানিও আনতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, বছর যায় বছর আসে, আর বাংলাদেশে অবৈধ সরকার শুধু একতরফাভাবে ভারতকে সবকিছু দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে পাচ্ছে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে সার্বভৌমত্বকে ক্ষয়িষ্ণু করে ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন, বিনিময়ে কিছুই পাননি। অন্য দেশের কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছেন শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা। প্রধানমন্ত্রী জনগনকে ধোঁকা দেওয়ার বিদ্যাটাই ভাল করে রপ্ত করেছেন- বলেও মন্তব্য করে তিনি।
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজলকে গত দুইদিন ধরে খুঁজে পাওয়া পাচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তার সহকর্মীরা আশঙ্কা করছে। আমাদেরও বিশ্বাস এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি আওয়ামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। গুম বা বিচারবর্হিভূতভাবে হত্যার ধারাবাহিক শিকার হলো এই মেধাবী ছাত্র নেতা সজল- বলেন রিজভী।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল নিধনের জন্যই মাদক বিরোধী অভিযানের নামে দেশজুড়ে বিচারবর্হিভূতভাবে মানুষ খুনের উৎসব চলছে। বেআইনি হত্যার মাধ্যমে দেশবাসীকে আতঙ্কিত করার ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে, তা হলো একটি রক্তাক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষ ভয় পাইয়ে দেয়া। যাতে তারা অবৈধ সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহসী না হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করাই তাদের নীল নকশা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ