নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে একটি বেসরকারী ক্লিনিকের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে সাথি খাতুন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সাথি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালিা গ্রামের মীর আব্দুল্লাহর মেয়ে। সে এবার চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বুধবার দুপুর পৌণে ২টার দিকে নগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত মডেল হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। গত ৭/৮ মাস আগে সাথীর বিয়ে হয়েছিল।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সাথী সারা শরীরে ঘা নিয়ে রাজশাহীর মডেল হাসপাতালো মেডিসিন চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে দেখাচ্ছিল। গত ৮ তারিখেও তাকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে যায় তার বড় ভাই নাজিম।
এদিকে, ১৬ মে আবার ডাক্তার দেখানোর তারিখ ছিল। এবার তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে তার মা। দুপুর পৌণে ২টার দিকে সে মডেল হাসপাতালের ছাদে গিয়ে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৩১ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত কলেজ ছাত্রী সাথীর বড় ভাই নাজিম জানান, তার বোনের আত্মহত্যার কোন কারণ দেখছিনা। প্রতিবার আমি তাকে নিয়ে যাওয়া আসা করি। এবার মায়ের সাথে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল সে। আমি রাজশাহী গিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেব। ঘটনার সাথে সাথে তার মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তবে তিনি বলেন, আমার মেয়ের আত্মহত্যার কোন কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, লাশ মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ডাক্তারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসক তাকে দেখে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলেছিল।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে