1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হালচাল এক নজরে - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হালচাল এক নজরে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা.ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়া, কয়েকজন এজেন্টকে মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে। সিটি করপোরেশনের ১১, ১৫, ২২, ২৫, ২৬, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। রাজি না হলে ভোটারদের বের করে দেয়া হচ্ছে ভোট কেন্দ্র থেকে। জাল ভোটও চলছে। এরই মধ্যে দুটি কেন্দ্রে সাময়িক ভোট বন্ধ করা হলেও অন্তত ৪০টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এমনটাই দাবি বিএনপি প্রার্থীরা। তবে সরেজমিনেও এর সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে।

সরেজমিন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের ৪০টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার দাবিও করেছে বিএনপি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোট শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সকাল পৌনে আটটায় খুলনা সিটি করপোরেশনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পোলিং এজেন্ট সেলিম কাজীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার জন্য ঢুকতে গেল তাকে পিটিয়েছে সরকারি দলের সমর্থকেরা। আহত সেলিমকে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ভর্তি না করে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী আব্দুল মালেক দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র ও লবণছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থাকা বিএনপি প্রার্থীর ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ছাড়া সেখানকার ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটের লাইন থেকে বিএনপি–সমর্থক বা বিএনপির পরিচিত মুখ ভোটারদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভোটার ও বিএনপি সমর্থকেরা।

সরেজমিনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিএনপির মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে কোনো পোলিং এজেন্ট নেই।

স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সেখানে বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সোনাপোতা স্কুল কেন্দ্রে নারী ভোটকেন্দ্রের সামনে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছে তালুকদার আব্দুল খালেকের সমর্থকরা। এছাড়া আবদুল গণি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্পেও ভাঙচুর চালায় তারা।

২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মো. জাহিদুল ইসলাম নামের এক ভোটার কেন্দ্র থেকে বেরিয় অভিযোগ করেন, তাকে নৌকা মার্কার ব্যালটে সিল মারার জন্য জোর করা হয়েছে। তিনি রাজি না হলে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রের বুথের ভেতর সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থীর সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, ৪০টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকেরা। তারা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনে জটলা পাকাচ্ছেন। বিএনপির পোলিং এজেন্ট, সমর্থক ও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন, এ জন্য ঘেরাও করে রেখে আতঙ্কজনক পরস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী জানান, খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে একাডেমিক ভবন-১ ও একাডেমিক ভবন-২—এই দুই ভবনে ভোট হচ্ছে। একটিতে ভোটার ১ হাজার ৩৭০ ও অপরটিতে ২ হাজার ৩৩৮ ভোট। বুথের সংখ্যা ১২। কিন্তু একটিতেও বিএনপির পোলিং এজেন্ট নেই। তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে একাডেমিক-১ ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজী মোহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্টরা আমার কাছ পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি।’

একাডেমিক ভবন-২-এর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানও একই বক্তব্য দেন।

একাডেমিক ভবন-২-এর ৮টি বুথের মধ্যে ২ নম্বর বুথে নৌকার মার্কার ২ জন এবং ৪ নম্বর বুথে ৩ জন পোলিং এজেন্টকে পাওয়া যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু জানান, তিনি যে ৫-৬টি কেন্দ্রে গেছেন, সেসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এখন পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালেয় বিএনপির পক্ষ থেকে ৪০টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১, ১৩, ১৫, ২২, ২৫, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ ওয়ার্ডগুলো রয়েছে।

মঞ্জু বলেন, ‘কোনো ভোটই হচ্ছে না। অবস্থা খুবই খারাপ। নির্বাচন কমিশনের কাছে খুলনাবাসী এমন নির্বাচন প্রত্যাশা করেনি। তারা চেয়েছিলেন উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশ।’

এ পরস্থিতিতে তিনি কী করবেন—জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, ‘আরও দেখব।’

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ভোটের পরিবেশে সন্তুষ্ট।
তার ভাষায়, ‘ধানের শীষের কোনো লোক তো আমি দেখছি না। সবাই তো নৌকার সিম্বল পরে আছে। এখন কেউ যদি নৌকার সিম্বল নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে অন্য প্রতীকে ভোট দিতে চায় আর আমার এজেন্টরা সেটা চিহ্নিত করতে পারে তবে তারা তো সেটা ঠেকাবেই।’

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST