খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: রমজান আত্মগঠনের মাস। রমজানের রুটিনকে এমনভাবে সাজাতে হবে যেন অনভ্যস্ত ব্যক্তিরাও ইবাদাতে অভ্যস্ত হন। আর অভ্যস্তরা আরো বেশি ইবাদত করতে পারেন। রোজার মাসে সেহেরি খাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের সবারই থাকে।
কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পরিকল্পনা অনেকের নেই। তাহজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য রমজানের পরিকল্পনা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এমনিভাবে ফজরের পর এশরাক ও মাগরিবের পর আওয়াবিনের অভ্যাস করতে হবে।
এভাবে রমজানের রুটিন সাজাতে পারলে আত্মগঠন ও রমজানের পূর্ণ ফায়দা অর্জন সহজ হবে। রমজান পেয়েও যে নিজের আত্মশুদ্ধি করতে পারলো না তার চেয়ে অভাগা আর কে আছে?
রাসুল (সা.) শাবানের ১৫ তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পরই জোরেশোরে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন।
রমজান এলে কোরআন তেলাওয়াত ও দান-সদকা প্রবাহিত বাতাসের মতো বাড়িয়ে দিতেন। রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে জিব্রাইল (আ.) কে একবার পুরো কোরআন শোনাতেন।
আবার জিব্রাইল (আ.) রাসুল (সা.) কে পুরো কোরআন শোনাতেন। যে বছর রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেন ওই বছর দুই খতম কোরআন জিব্রাইল (আ.) কে শোনান। আমাদের রমজান পরিকল্পনায় অবশ্যই কোরআনকে প্রাধান্য দিতে হবে।
যারা কোরআন পড়তে পারি না তারা কোরআন পড়া শিখবো। কোরআন বুঝবো-মানকো এবং সে অনুযায়ী আমল করবো। তবেই পবিত্র রমজান ও কোরআন আমাদের জন্য সুপারিশ করবে।
আল্লাহকে পাওয়া ও গুনাহ মাফের মাস রমজান। জাহান্নাম থেকে মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মাহে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করতে হবে। আমাদের কর্মব্যস্ততা কমিয়ে আনার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে।
যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে শেষ দশদিন যেন ইতিকাফ করা যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য হল- রমজানের শুরুতে ইবাদতে জোয়ার আসলেও শেষে ভাটা পড়ে। অনেকে শেষ দিনগুলো মার্কেট ও কেনা-কাটায় ব্যস্ত থাকার কারণে ফরজ নামাজও অনেক সময় আদায় করতে পারেন না। তাই পরামর্শ থাকবে সম্ভব হলে এখনই কেনাকাটা শেষ করে ফেলুন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ