নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান (যুগ্মসচিব), সাবেক প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবদুর রব জোয়ার্দ্দার ও সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগের মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়। রবিবার রাজশাহীর বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহা মোস্তাকিনুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে রাজশাহী মহানগর জজ আদালত থেকে বহুল আলোচিত এ মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয় বিচারের জন্য। ওইদিনই তিন আসামিকে পরবর্তী ধার্য তারিখে হাজির করার জন্য প্রসিকিউশনকে বলা হয়। রবিবার মামলার ধার্য তারিখে কোনো আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি রাজশাহীর শাহ মুখদুম থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান। এর আগে ২ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেন কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। এর আগে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক প্রধান হিসাব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রব জোয়ার্দ্দার এবং সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানকে আসামি করে শাহ মুখদুম থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুল করিম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকায় সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), নগর পরিকল্পক (এটিপি), উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, কম্পিউটার অপারেটর, গাড়িচালক, নকশাকার, সার্ভেয়ার, এমএলএসএস, প্রহরী, ঝাড়ুদার এবং একই বছরের ৩১ আগস্ট দৈনিক বার্তা ও দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকায় হিসাবরক্ষক, ইমারত পরিদর্শক, ড্রাফটসম্যান, হিসাব সহকারী, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে তিন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন।
সূত্র মতে, দুটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন পদে মোট ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকের চাকরির সরকারি বয়সসীমা ৩০ বছরের অধিক ছিল। এমনকি কারও কারও বয়স ৪৭ বছর পর্যন্ত ছিল। কিন্তু আসামিরা দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের আরডিএতে নিয়োগ প্রদান করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.এমকে