রাবি প্রতিনিধি:
পূর্বশত্রুতার জেরে এক শিক্ষার্থীকে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতল (রামেক) এ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে রামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম জিহাদ হোসাইন। সে নৃবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত এবং শাহ্ মখদুম হলের ২২০ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি জয়পুরহাটে। পিতার নাম গণি মিঞা। অভিযুক্ত মারধরকারী রুহুল আমিন কিসকু বিশ্ববদ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় হবিবুর রহমান হলের সামনে জিহাদ বসে ছিল। সেখানে কিসকু জিহাদকে দেখে ধাওয়া করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিসি এর সামনে এসে জিহাদ পড়ে য়ায়। পরে সেখানে জিহাদকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি দেখে টিএসসিসিএর কয়েকজন গার্ড জিহাদকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রামেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকের ৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন কিসকু বলেন, ‘অনেক আগে জিহাদ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সেই শিক্ষার্থী এই ঘটনায় মামলা করেও কিছু করতে পারেনি। মারধরের বিষয়ে কিছু জানেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তবে এই মারধরের ঘটনাটি এই মাত্র শুনলাম। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি সেখানে ছিলাম না’।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন,‘বিষয়টি শুনেছি। তবে আহত শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন কিসকু ও শিক্ষার্থী জিহাদ হোসাইনের মধ্যে ২০১৬ সালে পূর্বশত্রুতার জেরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় জিহাদের হাতে থাকা স্কেলের আঘাতে আহত কিসকু।
খবর24ঘণ্টা/এমকে