নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রাফি নামের এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই শিশুর আনুমানিক বয়স ১০ মাস। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রাফির মৃত্যু হয়। সে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন দড়িখরবনা এলাকার রানার ছেলে।
আহত শিশু ও তার স্বজনরা। ছবি: খবর 24 ঘণ্টা
শিশু রাফির বাবা রানা অভিযোগ করে জানান, গত ১০ দিন আগে তার ছেলে রাফিকে পপুলার ডায়াগনস্টিকের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ছানাউল হকের কাছে দেখান। ডাক্তার তার ছেলেকে দেখে ওষুধ লিখে দেন। সেই ওষুধগুলো খাওয়া শেষ হলে গত দু’দিন আগে তার ছেলেকে নিয়ে তিনি ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার ওই শিশুকে গ্যাস দেয় ও ইঞ্জেকশন দেয়। এরপর বিকেল ৫টার দিকে আবার ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে ডাক্তার গ্যাস দেওয়ার সময় তার ছেলে অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে গেলে ডাক্তার ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তারা শিশু রাফিকে দ্রুত রামেক হাসপাতালের ১০ নং ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশুর স্বজনদের্ এই ঘরের মধ্যে আঁটকে রাখা হয়। ছবি: খবর 24 ঘণ্টা।
শিশু মারা গেলে তারা সেই শিশুটিকে নিয়ে পুপুলারে গিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চান ও প্রতিবাদ করেন। এ সময় হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ডরা শিশুর বাবা রানা, দাদা দুলাল ও ভাই রনিকে বেধড়ক মারধর করে। হাসপাতালে মারধরের শিকার হলে তারা চিকিৎসকের চেম্বারে চেয়ারসহ কিছু ভাংচুর করার চেষ্টা করেন। ভাংচুরের চেষ্টা করলে হাসপাতালের স্টাফ ও সিকিউরিটি গার্ডরা তাদের মারধর করে ঘরে আঁটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। তাদের শিশুর মৃত্যুর পর উল্টো তাদের মারধর করলে মৃত শিশুর মা-বাবা ও চাচিসহ সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মৃত শিশুর বাবাকে এভাবেই মারধর করা হয়। ছবি: খবর 24 ঘণ্টা।
তবে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার বলেন, তারা চিকিৎসককে মারধর ও চেম্বারে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। যার কারণে তাদের ঘরে ঢোকানো হয়। তাৎক্ষনিক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে