বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা দরগা শরীফ লাইব্রেরী এখন গোদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিহাস সমৃদ্ধ ও ওলিয়ালার স্থান বাঘা মাজার। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে। কিন্তু মাজার এ্যাষ্ট্রেটের পরিচালক ২০০৬ সালে সরকারি অর্থ সহায়তায় এখানে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করে। এই লাইব্রেরীটি বর্তমানে গোদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ইতিহাস জানতে এসে লাইব্রেরীর অবস্থা দেখে অনেকেই ফিরে যাচ্ছে।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষার ধারাকে স্বর্ণশিখরে নিয়ে যেতে লাইব্রেরীর গুরুত্ব অপরসীম। কিন্তু বেশ কিছু দিন থেকে এই লাইব্রেরীটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে বেহাল দশায় বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ঘুরতে আসা মানুষ। এদিকে দরগা শরীফে উন্নয়ন কাজ চলছে। এই উন্নয়ন কাজের ব্যবহৃত মালামাল এই লাইব্রেরীতে রাখা হয়েছে। ফলে লাইব্রেরীতে বই পড়ার বর্তমানে কোন পরিবশে নেই।
বাঘা ডিগ্রী কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র এসকে তানভীর খান বলেন, বাঘা মাজারের ইতিহাস জানার জন্য লাইব্রেরীতে কিছু বই পড়ার জন্য যায়। গিয়ে দেখি লাইব্রেরীর মধ্যে ইমারত তৈরী করার মালামাল রাখা হয়েছে। ফলে আমি লাইব্রেরীতে না গিয়ে ফিরে এসেছি।
বাঘা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম মোল্লা বলেন, এটি একটি পবিত্রস্থান। এখানে যে কেউ হোন না কেন, এভাবে মালামাল রাখা ঠিক করেনি। এছাড়া লাইব্রেরীর মূল গেটে এগুলো দেখে মাজার ঘুরতে আসা মানুষ এগুলো দেখে বিব্রত বোধ করছে। অতিসত্তর এগুলো সরিয়ে নিয়ে লাইব্রেরীতে বই পড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহবান জানাচ্ছি।
বাঘা মাজার এ্যাষ্ট্রেটের মতোয়ালী খোন্দকার মো. রইস উদ্দীন বলেন, মাজার উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় এক ঠিকাদার আমাকে বলে মাত্র এক মাসের জন্য মালামাল রাখার জন্য অনুমতি নেই। সেই অনুমতি সাপেক্ষে এগুলো রেখেছেন। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এগুলো সরিয়ে নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, আমার জানামতে মাজার পরিচালনা একটি কমিটি আছে। এই কমিটি দ্বারা লাই্রব্ররীটি পরিচালিত হয়। লাইব্রেরী গোদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক না। তবে আমি এটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ