মেশকাত মিশু, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামকে দুই বছরেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন নিহতের পরিবার ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রজশাহী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত মামলার রায়ের আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেন’।
এছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামীর মধ্যে কারাগারে রয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ। এছাড়া, বাকি তিনজন নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমতুল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন বলে জানা যায়। এরমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বর্তমানে একজন কারাগারে ও তিনজন জামিনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন নগরীর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। প্রায় সাড়ে ৬ মাসের তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ৮ জনকে আসামী করে প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেন তিনি।
এদিকে অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার দুই বছর উপলক্ষ্যে আগামীকাল সকালে প্রতিবাদী র্যালি করবে ইংরেজি বিভাগ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ