আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জোর করে নিজ বাড়ীতে আবারও ধর্ষণ করতে গিয়ে মেয়ে রাজি না হওয়াতে চিৎকার করলে স্থানীয়রা জানতে পেরে লম্পট আব্দুস সামাদ কে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। পরে পুলিশ কে খবর দিলে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিয়ে আসে।
লম্পট ধর্ষক আব্দুস সামাদের সাথে কথা হলে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে বলেন, ২ বছরের অধিক সময় হতে আমাদের এই কাজ হয়ে আসছে। আমি নেশা গ্রস্থ সকল ধরনের নেশা করি।
নিজের স্ত্রী সন্তান আছে তবুও বাড়ীতে ফাঁকা পেলেই আমি একাজ করি। স্ত্রীর সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকায় আমার স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে চলে গেলে একাজ করতাম।তবে তিনি বলেন জোর করে না স্বেচ্ছায় মেয়ের সাথে এমন মেলামেশা করে আসছি।
পিতার ধর্ষনের শিকার মেয়ে সাথে কথা বলে জানাযায়, তিন বছর হতে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার পিতা এ জঘৃন্য কাজ করে আসছে।আমি রাজি না হলে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করতো। ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি।তিন মাস আগে আমার পিতা চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদরে একটি মেসে কাজ দিয়ে রেখে আসে। আর সেখানে বাসাভাড়া করে দিয়েছিলো থাকার জন্য।সেখানে নিরিবিলি জোর করে এ অনৈতিক কাজ করতো।
গত বুধবার আমি সেখান হতে পালিয়ে আসি।এর পর সে আমাদের বাড়ীতে এসে মারধর ও আবারও জোর করে এই নির্যাতন করতে চাইছিলো আমি তাতে বাঁধা দিলে মারধর শুরু করে।আমি নিজেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলে লোকজন এসে উদ্ধার করে।তবে মেয়ে বলেন আমি আমার বিচার পাবার জন্য মামলা দায়ের করবো।
গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই নাইমুল হক বলেন, মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে তারপর জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান।বাবা ও মেয়ের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।এটাই এখন টক অবদ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ