1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
অনলাইনে মধুচক্রের রমরমা ব্যবসা ফাঁস - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

অনলাইনে মধুচক্রের রমরমা ব্যবসা ফাঁস

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

বিশেষ প্রতিনিধি: চোখ ধাঁধানো ওয়েবসাইট ৷ গোটা ওয়েবসাইট জুড়ে লাস্যময়ীদের ছবি ৷ বিভিন্ন পোজে তোলা যৌন আবেদনের ছবির নিচে দেওয়া যোগাযোগের ফোন নম্বর ৷ তারপর বাকি দরাদরি ফোনেই ৷ ‘ডিল’ ফাইনাল হলেই গ্রাহকের বলে দেওয়া ঠিকায় পৌঁছে যেত রহিমা, নার্গিসরা ৷

খোদ  ঢাকা শহরের বুকে প্রায় কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল অনলাইনে মধুচক্রের ব্যবসা ৷ গোপন সূত্রে খবর পয়ে ঢাকা পুলিশ ওই ওয়েবসাইটে অফিসে হানা দেয়৷ পুলিশের হস্তক্ষেপে লাটে ওঠে যৌন ব্যবসা৷  পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আলিমুজ্জামান জানান, মাহতাব রফিক অনলাইন ওয়েবসাইট খুলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খুলে এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবসা করছিলেন৷ পুলিশ এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের ৮টি গ্রুপ এবং ৬টি পেজ খুঁজে পেয়েছে যেগুলির অ্যাডমিন ওই রফিক মিঞা ৷ পেজগুলিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের প্রোফাইল ও যৌন উদ্দীপক ছবি দেওয়া হত৷

গ্রাহকরা অনলাইনে প্রোফাইল দেখে তাদের আগ্রহ জানাতেন ৷ অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো এসব অনলাইন গ্রুপ এবং পেজে৷ এ গ্রুপে সবাই ঢুকতে পারতেন না ৷ মাহতাব রফিকের বিরুদ্ধে আইটি ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে৷ মাস দু’য়েক আগে একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনলাইনে ঢাকায় ‘স্কোয়াট সার্ভিস’ অর্থাৎ সঙ্গী সরবরাহের ব্যবসা চালানোর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট৷ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ বেশ কতগুলি সাইট ও ফেসবুক পেজের সন্ধান পায় যেগুলির মাধ্যমে যৌনকর্মী সরবরাহের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল৷

আলিমুজ্জামান জানান, এ পেজ খুলে যৌনকর্মী সরবরাহের সার্ভিস যেমন দেওয়া হচ্ছিল, একইসঙ্গে আগ্রহী গ্রাহকদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল৷ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ সেসময় সাত জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷ সেই প্রক্রিয়ায় সোমবার মাহতাব রফিককে ধরা হয়৷ এসব সাইট কারা ব্যবহার করতো, কারা কারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, গোটা চক্রকে সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ৷ রফিক পুলিশকে জানিয়েছে, সে ব্রিটেন থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে দেশে গিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসা করেছে৷ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের একজন সদস্য বলেও দাবি করেছে৷ পুলিশ অবশ্য তার এইসব বক্তব্য তদন্ত করে দেখছে৷

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST