খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: ‘হয়ত এটা অস্বস্তিকর, তবে এইভাবেই সবাই একই লেভেলে চলে আসে।’ এমনটাই মনে করেন বিবির দুই সঞ্চালিকা জেনি এলস ও ক্যাট হারবোর্ন। বিবিসির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ন্যাকেড পডকাস্ট’-এর সঞ্চালনা করেন তিনি।
বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎ নেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে। আর অতিথি এসে পৌঁছনোর আগেই সব পোশাক খুলে ফেলেন এই দুই উপস্থাপিকা। আইডিয়াটা ছিল ক্যাটের। পরে দু’জনেই মনে করেন যে এটা একটা দারুন ব্যাপার হতে চলেছে।
আসলে এরা দেখতে চেয়েছিলেন যে, নগ্ন অবস্থায় অতিথিরা মনের কথা আরও বেশি করে বলে ফেলে কিনা। আর এই এক্সপেরিমেন্টে তাঁরা সফল। দু’জনেই দাবি করেছেন, সাক্ষাৎকারে অতিথিরা নগ্ন অবস্থায় অনেক বেশি সৎ উত্তর দেন। রাখঢাক না করেই বলে ফেলেন অনেক কথা।
BBC স্টুডিওতে অনুষ্ঠানের সময় থাকে কথা রেকর্ড করার যন্ত্রপাতি আর তিনজন নগ্ন মানুষ। মানুষের শরীরের নানা চিত্র আর নগ্নতা নিয়েই তাদের ওই অনুষ্ঠান। এই দুই উপস্থাপিকা বিবিসি শেফিল্ডে সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন। সিরিজে ১০টি এপিসোড রয়েছে এবং বিবিসি শেফিল্ড বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে। যদিও নগ্নতার বিষয়ে আলোচনা হলেও সেটি প্রচার হয় পডকাস্টে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শোনা যায়। ফলে তাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসলে কারো চোখে পড়বে না।
দুজনেরই বয়সই তিরিশে কোঠায়। কেট বলছেন, ”প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সময় আমরা ভেবেছিলাম যে, একজন শক্তিশালী , বুদ্ধিমতী, নারীর সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরুর করতে যাচ্ছি। কিন্তু নগ্ন হয়ে আলাপচারিতা শুরুর পর দেখা গেলো, তারা নিজের শরীর নিয়ে কতটা বিব্রতকর, নেতিবাচক কথাই না ভেবেছেন।”
তাদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন অনেক ব্যতিক্রমী অতিথি। রয়েছেন মডেল, যিনি মূত্র জটিলতায় ভুগছেন বলে সবসময় মূত্র থলি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। রয়েছেন, একজন মুসলিম নারী যিনি বিয়ের পরই প্রথম কোন নগ্ন দেহ দেখেছেন, যা ছিল তার স্বামীর। এদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে আসলে এই গায়ের রঙ বা ত্বক নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করাটা বোকামো। এর থেকেও অনেক বেশি সমস্যা রয়েছে অনেক মহিলার।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ