বাঘা প্রতিনিধিঃ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সুরঞ্জন দাস এর মাথা গোজার ঠাঁইটুকু ভূয়া দলিল করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে বড় বোন-ভগ্নিপ্রতিরা। তারপর থেকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে এর কোন সমাধান পাচ্ছেনা মা বিদাসী রানী দাস। অবশেষে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা বিদাসী রানী দাস জমি ফেরতের দাবিতে বাদি হয়ে (১২ এপ্রিল) ১১ জনকে অভিযুক্ত করে রাজশাহীর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পূর্বপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী পূর্বপাড়া গ্রামের সুরেস চন্দ্র দাস ২৭ জানুয়ারী বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যায়। তারপর সুকৌশলে (১৮ মার্চ) বাঘা সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে দলিল করে তার স্থাবর অস্থাবর জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর বড় বোন শ্রীমতি কাঞ্চনী রানী, সন্ধ্যা রানী, পূর্নিমা রানী, রিনা রানী। ফলে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এদিকে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধীর মা বিদাসী রানী দাস। নিরুপায় হয়ে পড়েছে প্রতিবন্ধীর মা বিদাসী রানী দাস। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মা বিদাসী রানী দাস বলেন, আমার মেয়ে শ্রীমতি কাঞ্চনী রানী, সন্ধ্যা রানী, পূর্নিমা রানী, রিনা রানী, জামাই নির্মল চন্দ্র দাস, বিমল দাস, কমল দাস, অনিল কুমার দাস ও মহরী মশিউর রহমান, সোহেল রানা, মোজাহারুল ইসলাম এর যোগসাজসে আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছোট ছেলে সুরঞ্জন দাসকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাঘায় নিয়ে যায়। সেখানে ছেলের সকল স্থাবর-অস্থাবর দলিল করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। জমি রেজিস্ট্রির কয়েক দিনপর বাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে মেয়ে-জামাইরা। তারপর খোঁজ নিয়ে দেখি যে, সকল জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে তারা। এখন আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। তারা জমি ফেরত না দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমার জানা মতে সুরঞ্জন দাস একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বড় বোনেরা জমি ফিরে দিচ্ছেনা। ফলে আদালতের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি আদালত বিবেচনা করবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ