খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: কলকাতা-ঢাকা বাস ও ট্রেন সার্ভিসের পর এবার চালু হল কন্টেইনার ট্রেন সার্ভিস। মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম কন্টেইনার ট্রেনটি চালু হল। ৬০টি কন্টেইনারের এই ট্রেনটিতে ছিল প্রায় কয়েক শত টন খাদ্য শস্য ও পশু খাদ্য।
এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ট্রেনটি কলকাতার মাঝেরহাটে অবস্থিত কন্টেইনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’র কন্টেনার টার্মিনাস থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পতাকা নাড়িয়ে কন্টেইনার ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও, কন্টেনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (কনকর)-এর এমডি কল্যাণ রামা, কনকরের সিনিয়র কর্মকর্তা মানসী ব্যানার্জি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আর.এন.মহাপাত্রসহ রেলের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
khobor24ghonta.com
কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে ভারতের অংশে শিয়ালদহ-নৈহাটি-রানাঘাট-গেদে হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবে এটি। এরপর আরও কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তা পৌঁছবে ঢাকায়।
ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থা হবে সস্তা ও দ্রুত। কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে সরাসরি কোন জাহাজ যোগাযোগ নেই। কলকাতা থেকে শিপমেন্ট হওয়া পণ্য ঘুরপথে চট্টগ্রামে পৌঁছতে প্রায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু কন্টেইনার ট্রেন সার্ভিস নিয়মিত চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছতে সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা।
ভারত থেকে মূলত তুলা, সুতা, গাড়ি, বয়লার, মেশিনারি, ইস্পাত রফতানি করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে নিটওয়্যার, কৃষিজ পণ, হিমায়িত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য, কাঁচাপাট, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে কন্টেইনার ট্রেন সার্ভিস শুরু হলে এইসব খাত উপকৃত হবে। তবে কলকাতা থেকে ঢাকা সরাসরি কন্টেইনার ট্রেন চালু হবে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বাংলাদেশের স্পিনিং ও পোশাক শিল্প।
পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও জানান, গেদে ও পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল করে। কিন্তু এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম কন্টেইনার ট্রেন চালু হল। এটি গেদে (ভারত)-দর্শনা (বাংলাদেশ) সীমান্ত দিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে। পরীক্ষামূলকভাবে এটিকে চালু করা হল। এরপর বাংলাদেশের তরফে সবুজ সংকেত দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে নিয়মিত ব্যবধানে এই কন্টেইনার ট্রেন চালু করা হবে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র জানান, বাংলাদেশ সরকার রাজি থাকলে পরবর্তীতে নিয়মিতভাবে এই ট্রেন চালু করা হবে। এই ট্রেনটি আনুমানিক নয় ঘণ্টার মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এই উদ্যোগের ফলে দুই দেশ আর্থিকভাবেও উপকৃত হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ