খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সকল রকমের সুবিধাভোগী হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ সরকারবিরোধী সকল রকম তৎপরতায় মেতে উঠেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সরকার থেকে সবরকম সুবিধা নিয়েও সরকার পতনের নীলনকশায় হাত মিলিয়েছেন শেখ হাসিনা বিরোধী বলে পরিচিত একই মালিকানায় প্রথম শ্রেণির দুটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকের সঙ্গে। অন্যদিকে সরকারকে ম্যানেজ করতেও তিনি সরকারের সঙ্গে দূতিয়ালির জন্য ব্যবহার করছেন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ীকে। যিনি একই সাথে তার মতই একটি টিভি চ্যানেলের মালিক।
সম্প্রতি টিভি মালিকদের সংগঠন দএটকোদ এবং পত্রিকা মালিকদের সংগঠন দনোয়াবদকে একীভূত করার জন্য অনুষ্ঠিত একটি সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন জানান, সভায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেন এ কে আজাদসহ ওই দুটি পত্রিকার সম্পাদক। সেখানে উপস্থিত সরকারের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ী ও টিভি চ্যানেলের মালিকও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিব্রত বোধ করলেও চুপ ছিলেন।
জানা যায়, জাতীয় দৈনিক দদৈনিক সমকালদ ও টিভি চ্যানেল দচ্যানেল টোয়েন্টিফোরদ এর কর্ণধার এ কে আজাদ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করলে ঢাকার কোনো একটি আসন থেকে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে তাকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু তিনি তার নিজ এলাকার আসন থেকে মনোনয়ন চাইলে তার এই প্রত্যাশা প্রত্যাখ্যান করা হয়। আওয়ামী লীগ থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও হাল ছেড়ে দেননি এ কে আজাদ। মনোনয়নের জন্য তিনি ভিড়েন বিএনপিতে। বিএনপি থেকে তার পছন্দের আসনে মনোনয়নের নিশ্চয়তা পাবার পর থেকেই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য শুরু করেন সরকারবিরোধী নানান ষড়যন্ত্র। বিএনপিতে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য তার মালিকানাধীন দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে ব্যবহার করে চলেছেন সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে।
জানা যায়, এ কে আজাদ এই ষড়যন্ত্রের ছক কষতে তার সমকালের কার্যালয়ে নিয়মিত বৈঠক করেন একই মালিকানায় ইংরেজি ও বাংলায় প্রকাশিত ওই সম্পাদকদের সাথে। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, তাদের ওই বৈঠকে প্রায়শই যোগ দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তাদেরই পরিকল্পনা অনুযায়ী দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর-কে সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ও জনমনে অসন্তোষ তৈরির জন্য কাজ করতে নির্দেশ দেন এ কে আজাদ।
উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্তের পরপরই দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে বাড়ানো হয় বিএনপি ও জামায়াত শিবির সম্পৃক্ত লোকজনের দৌরাত্ম্য। সরকারবিরোধী এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হাওয়া ভবনের একনিষ্ঠ এবং আজ্ঞাবহ একজন সাংবাদিক ও একজন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকের পরামর্শে জোরপূর্বক অকার্যকর করে রাখা হয়েছে সমকালের সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারকে।
আরেকটি সূত্র জানায়, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বিএনপিপন্থী সাংবাদিক তালাত মামুনকে। যিনি ইতিমধ্যে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এ কাজে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন শিবিরপন্থী সাংবাদিক বিপ্লব শহীদ। এখানে উল্লেখ্য, এই বিপ্লব শহীদের ব্যাপারে একাধিকবার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে এসেছে কয়েক দফায়, যদিও কোনো অদৃশ্য মহলের জোরে তিনি বরাবরই থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ